Sunday 07 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ কোটি ২৫ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হয়েছে: ইউনিসেফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৪ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৫

শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫ -এর মাধ্যমে ৯৭ শতাংশের বেশি অর্থাৎ ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, একটি দারুণ খবর জানাতে পেরে আজ আমি গর্ব ও আনন্দ বোধ করছি- বাংলাদেশ একটি অসাধারণ অর্জন করেছে: টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর মাধ্যমে ৯৭ শতাংশের বেশি শিশুর কাছে পৌঁছানো গেছে, অর্থাৎ ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি শিশুকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই অসামান্য অর্জন প্রমাণ করেছে যে, শিশুদের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ও কষ্ট থেকে সুরক্ষা দিতে এবং সন্তান গুরুতর অসুস্থ হলে পরিবারগুলো যে অর্থনৈতিক ও মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে, তা থেকে পরিবারগুলোকে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিজ্ঞাপন

ইউনিসেফের প্রতিনিধি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন টাইফয়েড প্রতিরোধে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় দেশগুলোর কাতারে এসেছে। জীবনরক্ষাকারী এই ক্যাম্পেইন চালু করা বিশ্বের অষ্টম দেশ এখন বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা সর্বশেষ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভেতে (এমআইসিএস) দেখা গেছে, বাংলাদেশে মাত্র ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের নিরাপদ ব্যবস্থাপনার আওতায় পানি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, পানির সব ধরনের উৎসের প্রায় অর্ধেক (৪৭ দশমিক ২ শতাংশ) এবং প্রতি ১০টির মধ্যে আটটি পরিবারে ব্যবহৃত পানির নমুনায় (৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ) ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ রয়েছে। এসব সংখ্যা এটাই বোঝায় যে লাখ লাখ শিশুর জন্য টাইফয়েডের মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়া খুবই সহজ। তারা প্রতিটি দিন এই ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সাধারণ এক গ্লাস পানিই তাদের জন্য ভয়ানক বিপদ নিয়ে আসতে পারে।

রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে জোরালোভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য আমি অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তারা তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। টিকা দেওয়ার লক্ষ্য পূরণে সফলতা অর্জনের জন্য আমি বাংলাদেশ সরকার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সারাদেশের তাদের অসাধারণ দলগত প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানাই।

তিনি আরও বলেন, এই যাত্রার প্রতিটি ধাপে সহায়তা করার জন্য ইউনিসেফ সম্মানিত বোধ করছে। এখানে ৫ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিসিভি টিকা সরবরাহ করা থেকে শুরু করে জোরদার পরিকল্পনা, নতুন কোল্ড রুম স্থাপনের মাধ্যমে কোল্ড চেইন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সঠিক সময়ে সঠিক শিশুর কাছে টিকা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে ভ্যাক্সইপিআই প্ল্যাটফর্মের মতো ডিজিটাল টুলের ব্যবহার করা হয়েছে- এগুলোর প্রতিটিতে সহায়তা করেছে ইউনিসেফ। এ ধরনের একটি বিশাল জাতীয় ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে আমরা দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করেছি।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর