ঢাকা: ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউনেস্কো ২০০৩ কনভেনশনের ২০তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে টাংগাইলের শাড়ী বুনন শিল্পকে ‘অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কনভেনশনের আওতায় এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ একক নিবন্ধন। পর্ষদে প্রথমবার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর চার বছরের মধ্যে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাফল্য। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বদানকারী এবং ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য অসামান্য এক অর্জন। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে টাংগাইলের তাঁতিদের অনন্য সৃজনশীলতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এটি।’
তিনি আরও জানান, টাংগাইল শাড়ী বাংলাদেশের নারীদের নিত্য পরিধেয় হওয়ায় এই শিল্প জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। তাই এই অর্জন তিনি দেশের সকল তাঁতি এবং নারীদের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত তালহা মনে করেন, বাংলাদেশের আরও বহু সাংস্কৃতিক উপাদান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির যোগ্য। নথি প্রস্তুত করার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষ জনবল তৈরির মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বহু ঐতিহ্য ইউনেস্কো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
এর আগে গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর পর্ষদের ২০তম সভার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক খালেদ এল এনানি উপস্থিত ছিলেন।