শেষের ঝড়ে আফগানিস্তানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
১৪ জুলাই ২০২৩ ১৯:৫২ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ২০:১০
শুরুতে বোলিং করতে নেমে আফগানিস্তানকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৩ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ৮৭ রানে আফগানদের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিল স্বাগতিকরা। শুরুতে উইকটে হারানো আফগানরা চাপেও পড়ে গিয়েছিল। ১৬ ওভার শেষে আফগানদের রান ছিল ১০১, ওভারপ্রতি আফগানদের রান ছিল ৬.৩১। এরপরই উঠল ঝড়।
শেষ চার ওভারে বাংলাদেশি বোলারদের বেধরক পিটিয়েছেন মোহাম্মদ নবি ও আহমতউল্লাহ ওমরজাই। শেষ চার ওভারে ৫৩ রান তুলেছে আফগানিস্তান। যাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানে থেমেছে সফরকারীরা। আফগান বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এই সংগ্রহ বেশ চ্যালেঞ্জিংই।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে নাসুম আহমেদের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন হযরতউল্লাহ জাজাই। আইপিএল খেলে আসা রহমতউল্লাহ গুরবাজ অপরপ্রান্তে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। গুরবাজকে অবশ্য বেশিদুর এগুতে দেননি তাসকিন আহমেদ।
তাসকিনের লেগের দিকে টেনে দেওয়া বলে বড় পুল শট খেলতে গিয়ে সীমানায় ধরা পরেছেন গুরবাজ। ফেরার আগে আফগান ওপেনার ১১ বলে করেন ১৬ রান। খানিক বাদে ইব্রাহিম জাদরানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ৩২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
করিম জানাতকে নিয়ে এরপর আফগানদের টানছিলেন মোহাম্মদ নবি। এই নবিই সবচেয়ে বড় ভূমিকাটা রেখেছেন আফগানদের চ্যালেঞ্জিং স্কোরে। করিম জানাত খুব বেশিদূর এগুতে পারেননি। ৯ বলে ৩ রান করে সাকিবের আর্ম বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন করিম। এরপর নাজিবুল্লাহ জাদরান ও আজমতউল্লাহ ওমরজায়ের সাথে দারুণ দুটি জুটি গড়ে তোলেন নবি।
নাজিবুল্লাহ কিছুটা ধরে খেলেছেন। তিনি ২৩ বলে ২৩ করে ফেরার পর আজমতউল্লাহ রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন। শেষ দিকে মাত্র ১৮ বলে ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ রান করেছেন আজমতউল্লাহ। মোহাম্মদ নবি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪০ বলে ৫৪ রান করে। তার ইনিংসে চার ৬টি, ছক্কা ১টি।
বাংলাদেশের পক্ষে ২৭ রানে দুই উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসান সবচেয়ে সফল বোলার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
সারাবাংলা/এসএইচএস