যুব এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে স্রেফ উড়িয়ে দিল আজিজুল হাকিম তামিমের দল। টানা দুই জয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের কাছাকাছি পৌঁছেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
দুবাইতে আগে বোলিং করে নেপালকে ১৩০ রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ। পরে ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নেপালিদের কোনো সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ। ৫০ ওভারের ম্যাচে ২৪.৫ ওভারেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
গ্রুপ পর্বের অপর ম্যাচে শ্রীলংকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারিয়ে দিলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচটা জিতলেও সেমিতে উঠে যাবে আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুবাইয়ের দ্য সেভেন স্টেডিয়ামে নেপালের ১৩০ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশকে সহজ জয় এনে দিয়েছে জাওয়াদ আবরারের ৭০ রানের দারুণ এক অপরাজিত ইনিংস।
ওপেনার জাওয়াদ একপ্রান্ত থেকে দারুণ খেললেও অপর প্রান্ত থেকে শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না বাংলাদেশের। অপর ওপেনার রিফাত বেগ ৫ রান করে আউট হয়েছেন। তিনে নেমে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। তবে এরপর কালাম সিদ্দিকিকে নিয়ে দারুণ একটা জুটি গড়ে ম্যাচের ভাগ্য সেখানেই নির্ধারণ করেছেন জাওয়াদ।
তৃতীয় উইকেটে ৯২ রান যোগ করেন জাওয়াদ-কালাম সিদ্দিকি। ৬৬ বলে ৪টি চারে ৩৪ রান করে ফিরেছেন কালাম সিদ্দিকি। তবে জাওয়াদ ম্যাচ শেষ করে তবেই মাঠ ছেড়েছেন। ৬৮ বল খেলে ৭টি চার ৩টি ছয়ে ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন জাওয়াদ। রিজন হোসেন অপরাজিত ছিলেন ৮ বলে ১২ রান করে।

এর আগে বাংলাদেশের বোলিংটা হয়েছে দারুণ। নেপালের ব্যাটিংয়ের শুরুটা অবশ্য মন্দ হয়নি। উদ্বোধনী জুটিতে ৪০ রান তোলেন দুই ওপেনার সাহিল প্যাটেল ও নিরাজ কুমার। ১৮ রান করা প্যাটেলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাদ ইসলাম।
এরপর নেপালের মিডল অর্ডারকে স্রেফ নাকানি-চুবানি খাইয়েছে বাংলাদেশ। ৫৪ থেকে ৬১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন বংশ ছেত্রি (৪), নিরাজ কুমার (১৪), নিশ্চল শেত্রি (০) ও কিরবিন শ্রেষ্ঠ (৫)। ৪০ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ৬১ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় নেপাল।
সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নেপাল অনূধ্ব-১৯ দল। ৮১ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় দলটি। শেষ পর্যন্ত ১৩০ রানে থেমে যায় নেপালের ইনিংস।
দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অভিষেক তিওয়ারি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন সবুজ। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাদ, আজিজুল, শাহরিয়ার। একটি উইকেট পেয়েছেন আল-আমিন।