অনেকদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে এসেই নাম কুড়িয়েছিলেন জাকের আলি অনিক। নিয়মিত পারফর্ম করছিলেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন আবর দরকারে ক্রিজে পরে থেকেছেন। সব মিলিয়ে জাকের হয়ে উঠেছিলেন মিডল অর্ডারের ভরসার নাম।
কিন্তু হঠাৎ জাকেরের যেন কি হলো! ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন। মাঠে তার ব্যাটিং এখন সমালোচনার খোড়াক। সর্বশেষ ১৩ ইনিংসে ফিফটি নেই। ওয়ানডেতে তার সর্বশেষ পাঁচ ইনিংস যথাক্রমে- ২৭, ১০, ১৮, ১০, ১৮। আর টি-টোয়েন্টি শেষ ৮ ইনিংস- ৪, ৫, ৬, ৩২, ১০, ১৭, ৫, ২০। জাকের দল থেকে বাদও পরছেন।
তবে খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করছেন, জাকের অফ ফর্ম কাটিয়ে উঠবেন দ্রুতই। এবারের বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের হয়ে খেলবেন জাকের। মিডল অর্ডার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার বিপিএলে রানে ফিরবেন বলে প্রত্যাশা নোয়াখালীর হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের।
তিনি বলেন, ‘জাকেরের ওপর আমার চোখ আছে। সে আমার বড় নির্ভরতা। খুব পছন্দ করি জাকেরকে। খুব পরিশ্রম করে। ডেডিকেটেড। ভালো ক্রিকেটার। ম্যাচ মেকার। ভালোমতো ম্যাচ গড়তে পারে। সে অ্যাবিলিটি আছে। হয়তো জাকের ন্যাশনাল টিমে একটু অফ ট্র্যাকে আছে। কিন্তু আমার মনে হয় সেটা কোনো ব্যাপার নয়। এটা সাময়িক। ইনশাআল্লাহ বিপিএলে কামব্যাক করবে আশা করি।’
জাকের আলি জাতীয় দলে খেলেন ফিনিশার ভূমিকায়। যেখানে ক্রিজে গিয়েই মারতে হয়। এই রোলে ধারাবাহিক পারফর্ম করা সহজ নয় বলছেন সুজন, ‘জাকের ন্যাশনাল টিমে যেখানে খেলে, সেটা খুব টাফ পজিশন। গিয়েই মারতে হয়। হাত খুলে খেলতে হয়। ইনিংস তৈরির আর থিতু হওয়ার সময় ও অবকাশ থাকে না। সে পজিশনে হয় হিরো হতে হয়, না হয় জিরো হতে হয়।’
‘আমার বিশ্বাস বিপিএলে জাকেরকে একটু ওপরে ব্যাটিং করাতে দিলে সে আরও ফ্রি খেলতে পারবে। তখন তার নিজের স্বাভাবিক ছন্দে খেলতে পারবে। সেরাটাও উপহার দিতে পারবে।’- যোগ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।