যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি— মেধা ও তারুণ্যের বহ্নিশিখা
২০ নভেম্বর ২০২০ ১৫:১২ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ১৫:৫৩
যুবলীগ এক অহংকারের নাম, এক গৌরবের নাম। ‘এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ আর সেই শক্তি-সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় গঠিত হয়েছিল যুব সমাজের কর্ম-পাঠশালা, শাণিত আলোয় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। ১৯৭২ সাল। স্বাধীন হলেও অর্থনৈতিকভাবে পর্যুদস্ত রাষ্ট্র। সেই বিপর্যস্ত দেশকে গড়ে তোলবার একাগ্র বাসনায় বঙ্গবন্ধু। প্রয়োজন তারুণ্যের শক্তি, প্রয়োজন যুবশক্তি। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে তারুণ্যশক্তি, যুবশক্তি বিভ্রান্তিতে বিলীন হোক; এটি বঙ্গবন্ধু চাননি। তিনি চেয়েছিলেন, তারুণ্য ও যুব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে পুননির্মাণ করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন।
যুবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে। এজন্য কমিটির প্রায় প্রত্যেক সদস্য ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরের বীরযোদ্ধা, তারুণ্যদীপ্ত, প্রতিশ্রুতিশীল, দেশপ্রেমিক, উচ্চশিক্ষিত এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনার প্রতি অবিচল। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উঠে আসা এসব যুব-তারুণ্য দেশ গঠনে রেখেছিল অসামান্য ভূমিকা। এজন্যই পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রধানতম রাজনৈতিক সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিগণিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জীবন বাজি রেখে খুনিচক্রের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার ছিলেন। এজন্য তখন তাদের হামলা-মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনের শিকার হতে হয় এবং গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে থাকতে হয়। ১৯৮১ সালের ১৭মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরবর্তী থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা ক্ষণ; বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা
শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, দেশবিরোধীদের বিরুদ্ধেসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিল সামনের কাতারে।
জিয়া-এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে যুবলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, জেল খেটেছে, হামলার শিকার হয়েছে, মামলার শিকার হয়েছে। নূর হোসেন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এরপর ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার দুঃশাসন শুরু। সেই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুবলীগ আত্মপ্রকাশ করল দেশ বাঁচানোর হাতিয়ার হিসেবে। ১৯৯৭-৯৮ সালে সারা দেশে বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল মানবিক যুবলীগ। এছাড়া জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে থেকে সোনার বাংলা বিনির্মাণের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে।
২০০১-০৬ বিএনপি জামাত জোট দুঃশাসনামলের যত অপকর্ম; সংখ্যালঘু নির্যাতন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী হত্যা, জঙ্গিবাদ বিস্তার, দেশব্যাপী বোমা হামলা, সীমাহীন দুর্নীতি, হত্যা-খুনের প্রতিবাদে জনগণের পাশে ভ্যানগার্ডের দায়িত্বপালন করেছে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সেই সংগ্রামকে বেগবান করতে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে, জেল খেটেছে, হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। ১/১১ পরবর্তী সময়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা ছিল সামনের কাতারে। নেত্রীকে মুক্ত করেই সেদিন যুবলীগ ঘরে ফিরেছিল।
এতো বীরত্বব্যঞ্জক ভূমিকার পরেও হঠা কেন জানি যুবলীগের ওপর নেমে এলো কালো অন্ধকার। কিছু পথভ্রষ্ট নেতা-কর্মী নেমে পড়লো অপকর্মে।ক্যাসিনোকাণ্ড, দখলদারিত্ব আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লো ‘ওরা’। গুটিকয়েক নেতা-কর্মীর অপকর্মের দায় নিতে হলো যুবলীগকে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। অন্যায়কে তিনি প্রশ্রয় দেন না। কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নতও করেন না। সাদাকে তিনি সাদা বলেন, কালোকে কালো। এটি আজ সর্বজনবিদিত। সেজন্যই তো যুবলীগে পথভ্রষ্ট হয়েছিল যারা, তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং যুবলীগকে অতীতের সেই গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস। নিজ হাতে তৈরি করলেন যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব। সপ্তম কংগ্রেসের চেয়ারম্যান হলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে মেধা-মনন-প্রজ্ঞার এক অনন্য উদাহরণ, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান মনস্ক শেখ ফজলে শামস পরশ। পেশায় যিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামখ্যাত শিক্ষক। সাধারণ সম্পাদক হলেন সাংগঠনিক দক্ষতায় পরিপূর্ণ এক যুবকণ্ঠ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। দায়িত্ব পাবার পর মাত্র একবছরে শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশনায় যুবলীগ মানবিক সব কর্মসূচি হাতে নিয়ে সকল মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
করোনা সংকটে মানবিকতার সর্বোচ্চ দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে যুবলীগ। সারা দেশে করোনায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মানবিক যুবলীগ। কেন্দ্রীয়, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগরসহ সব মহানগর, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড যুবলীগের প্রতিটি ইউনিট অসহায় মানুষকে সহায়তা করে আসছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যুবলীগের মাধ্যমে সরাসরি সাড়ে ৪৩ লাখ মানুষ খাদ্যসহায়তা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দেওয়া রমজান ও ঈদ সামগ্রী এবং ভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রী পেয়েছে অন্তত এক কোটি মানুষ। দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আসার পরপরই সারা দেশে যুবলীগকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মাঠে নামার আহ্বান জানান যুবলীগ চেয়ারম্যান। করোনা সংকটের মধ্যেই বন্যা বাংলাদেশের জন্য নতুন দুর্যোগ হয়ে দাঁড়ায়। কেন্দ্রের নির্দেশনার পর সারা দেশে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ান যুবলীগের নেতাকর্মীরা। নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে বন্যার্তদের সহায়তা পৌঁছে দেন যুবলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
করোনাভাইরাসের শুরুতেই সারা দেশে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালায় যুবলীগ। প্রতিটি ইউনিটে মাইকিং এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়। গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সুরক্ষাসামগ্রী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসল ও সাবান বিতরণ শুরু হয়।
২৬ মার্চ অঘোষিত লকডাউন শুরুর দিন হতেই শুরু হয় খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি। করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সারা দেশে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। শ্রমজীবী, গার্মেন্টস শ্রমিক, বিভিন্ন কারখানা শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালক, প্রতিবন্ধী, অন্ধ, মুচি, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়সহ অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী (চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, সবজি, দুধ) ও নগদ অর্থ মানবিক সহায়তা দেওয়া হয়। ট্রাক, রিকসা ও ভ্যানে করে বস্তিবাসীদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা। শ্রমিক সংকটে অসহায় হয়ে পড়ে কৃষক। সারা দেশে কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি তুলে দিয়ে মানবিকতার আরেক নিদর্শন দেখিয়েছে যুবলীগ।
এপ্রিলের শুরুতেই ঢাকা মহানগরের রোগীদের যাতায়াত সংকট বিবেচনা করে যুবলীগ ২৪ ঘণ্টা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করে। এরপর বিভিন্ন মহানগর ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু হয়। একই সঙ্গে করোনা ভাইরাস সহ অন্যান্য রোগের নির্বিঘ্নে জরুরি চিকিৎসাসেবা পেতে সাধারণ মানুষের জন্য ২৪ ঘণ্টা টেলিমেডিসিন সেবাও চালু করে যুবলীগ। চিকিৎসা-সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রাজধানীর হাসপাতাল, জেলা উপজেলা হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছে যুবলীগ। রমজান মাসজুড়ে কর্মসূচিতে ভিন্নতা আনে যুবলীগের হাইকমান্ড। খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি শুরু হয় ইফতার সামগ্রী ও রান্না করা খাবার বিতরণ। পুরো মাস ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও পান্থপথ মাঠে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে কয়েক শতাধিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী অসহায় মানুষকে নতুন কাপড়, খাবার ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এসময় এসব অসহায় মানুষকে নিয়ে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মিলাদ ও দোয়া করা হয়। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী যুবলীগের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচিটি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পালিত হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কঠিন পরিস্থিতিতে এক মুহূর্তও বসে থাকেননি শেখ পরশ। ভার্চুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত মাঠপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা এবং অর্থ সহায়তা দিচ্ছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদেরও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। ক্যাসিনোকাণ্ডের পর অতি-সতর্কতা অবলম্বন করে প্রতিটি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন শীর্ষ দুই নেতা।
করোনা সংকটের মধ্যে ‘আম্পান’ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আরেকটি দুর্যোগ হয়ে আসে। বন্যা ও আম্পান ঘূর্ণিঝড়ে মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়া সহ প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার বিতরণ ও সতর্কবার্তা পৌঁছে দিতে সরকারের পাশাপাশি অগ্রণী ভূমিকা রেখে কাজ করে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বিভিন্ন জেলায় রাত জেগে যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করেছেন। কয়েকটি জেলায় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ নিজ হাতে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ ঠিক করতে কাজ করেছে। করোনা সংকটে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন যুবলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ৫০ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ‘সায়েম খন্দকার’ করোনা আক্রান্ত মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে গিয়ে নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন যুবলীগের ত্যাগ।
ইতিবাচক ও মানবিক কর্মসূচির পাশাপাশি চলে যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তুত করার কাজ। প্রস্তুত করা হয় ২০১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের যুবলীগ চেয়ারম্যান-সাধারণ সম্পাদকের হাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এবারের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেয়েছে সর্বোচ্চ
সংখ্যক সাবেক ছাত্রনেতা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিকসহ অন্যান্য পেশার গুণী ও যোগ্য ব্যক্তিরা। শুনেছি বহু যাচাই-বাছাইয়ের পর এ কমিটি অনুমোদন পেয়েছে। মেধাবী ও তারুণ্য নির্ভর হওয়ায় এ কমিটি সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। চলুন চোখ বুলিয়ে আসি এবার যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেমন হয়েছে?
সাবেক ছাত্রনেতা
মো. সাইফুর রহমান সোহাগ- নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি ছিলেন। জয়দেব নন্দী- নবগঠিত কমিটির প্রচার সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সামছুল কবির রাহাত- নবগঠিত কমিটির উপ-জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক, তিনি ছাত্রলীগের সাবেজ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা- নবগঠিত কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক। আদিত্য নন্দী- নবগঠিত কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। এন আই আহমেদ সৈকত- নবগঠিত কমিটির উপ-তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রিপন-রোটন কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। মো: আব্দুর রহমান জীবন- নবগঠিত কমিটির সহ-সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নাজমুল হুদা ওয়ারেসি চঞ্চল- নবগঠিত কমিটির সহ-সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আহতাসামুল হাসান ভূঁইয়া রুমি- নবগঠিত কমিটির সহ-সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মো. মনোয়ারুল ইসলাম মাসুদ- নবগঠিত কমিটির সহ-সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। এড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু- নবগঠিত কমিটির উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল- নবগঠিত কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি রিপর-রোটন কমিটির প্রচার সম্পাদক ছিলেন, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া- নবগঠিত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি রিপন-রোটন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শেখ আলাউল সৈকত- নবগঠিত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি রিপন- রোটন কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এমন অসংখ্য উদাহরণ এ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে রয়েছে। এছাড়া ছাত্ররাজনীতি করে পূর্বে যুবলীগে ছিলেন তারা এখন এই পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
শিক্ষক
অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ- চেয়ারম্যান- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত এবং শেখ ফজলুল হক মনির জ্যেষ্ঠ পুত্র। প্রফেসর ড. মো. রেজাউল কবির- সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, উচ্চশিক্ষিত এবং তার বাবা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। মো. ইব্রাহিম মিয়া- সদস্য; বেলাল হোসেন অনিক- সদস্য; ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান- কার্যনির্বাহী সদস্য; ড. মো. রায়হান সরকার রিজভী- কার্যনির্বাহী সদস্য। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এছাড়া অন্যান্যরাও নিজ জায়গায় অনন্য। প্রফেসর মো. আকরাম হোসেন- কার্যনির্বাহী সদস্য; প্রফেসর ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া- কার্যনির্বাহী সদস্য; প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর আলম- কার্যনির্বাহী সদস্য; প্রফেসর ড. মো. আরশেদ আলী আশিক- কার্যনির্বাহী সদস্য; মো. মেহেরুল হাসান সোহেল- কার্যনির্বাহী সদস্য; প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার তানভীর ফেরদৌস সাইদ- কার্যনির্বাহী সদস্য; ড. মো. জাভিদ ইকবাল বাঙালি- সদস্য; ড. সুবোধ দেবনাথ- সদস্য, ড. ফয়সাল ইবনে আব্বাস- সদস্য, রোজিনা আক্তার রিমা- সদস্য।
প্রকৌশলী
ইঞ্জি. মৃণাল কান্তি জোয়াদ্দার- প্রেসিডিয়াম সদস্য; ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক; ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান- সহ সম্পাদক; ইঞ্জিনিয়ার প্রতীক ঘোষ- কার্যনির্বাহী সদস্য; ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ মো. হিরো- কার্যনির্বাহী সদস্য; ইঞ্জিনিয়ার মো. আসাদুল্লাহ তুষার- কার্যনির্বাহী সদস্য; ইঞ্জিনিয়ার মো: শহিদুল ইসলাম সরকার- কার্যনির্বাহী সদস্য।
চিকিৎসক
চিকিৎসকমণ্ডলী বা চিকিৎসা পেশাজীবীদের মধ্যে সাবেক ছাত্রনেতা এবং আওয়ামী লীগ পরিবারের যেমন: ডা. খালেদ শওকত আলী- প্রেসিডিয়াম সদস্য; ডা. হেলাল উদ্দিন- সাংগঠনিক সম্পাদক; ডা. মো: ফরিদ রায়হান- স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক; ডা. মাহফুজুর রহমান উজ্জ্বল- উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক; ডা. মো: মঞ্জুরুল রাফি- সহ-সম্পাদক; ডা. মো: আরঙ্গজেব- কার্যনির্বাহী সদস্য; ডা. সম্রাট নাসের খালেদ- সদস্য; ডা. মফিজুর রহমান জুম্মা- সদস্য।
আইনজীবী
আইনজীবীদের মধ্য অনেকেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য। যেমন: এড. মামুনুর রশিদ- প্রেসিডিয়াম সদস্য; ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এমপি- প্রেসিডিয়াম সদস্য; ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম (বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য)- যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক; এড. মো: শামীম আল সাইফুল সোহাগ- সাংগঠনিক সম্পাদক; ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজিব- শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক; ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক
সুমন- আইন সম্পাদক; এড. মো: এনামুল হোসেন সুমন- উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক; ব্যারিস্টার আরাফাত হোসেন খান- এড. মো: হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা- কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক; এড. মুক্তা আক্তার- মহিলা বিষয়ক সম্পাদক; এড. আব্দুর রকিব মন্টু- কার্যনির্বাহী সদস্য; এড. মো: নাজমুল হুদা নাহিদ- কার্যনির্বাহী সদস্য; এড. এম. এ কামরুল হাসান খান আসলাম- কার্যনির্বাহী সদস্য; এড. মো: গোলাম কিবরিয়া- কার্যনির্বাহী সদস্য; ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান সুজন- কার্যনির্বাহী সদস্য; এড. কাজী বসির আহমেদ- কার্যনির্বাহী সদস্য; এড. মো: সওকত হায়াত- কার্যনির্বাহী সদস্য; এড. এস এম আসিফ শামস রঞ্জন- কার্যনির্বাহী সদস্য; এড. মো: সাজেদুর রহমান চৌধুরী বিপ্লব- কার্যনির্বাহী সদস্য।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগণ
মো: আবু আহমেদ নাসিম পাভেল- প্রেসিডিয়াম সদস্য; শেখ সোহেল উদ্দিন (বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য)- প্রেসিডিয়াম সদস্য; শেখ ফজলে ফাহিম (বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য)- প্রেসিডিয়াম সদস্য, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি (বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য)- প্রেসিডিয়াম সদস্য। তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। এছাড়া অন্যান্যরা হলেন মো: হাবিবুর রহমান পবন- প্রেসিডিয়াম সদস্য; মো: এনামুল হক খান- প্রেসিডিয়াম সদস্য; মো: মোয়াজ্জেম হোসেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য; সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার- প্রেসিডিয়াম সদস্য; এম শাহাদাত হোসেন তসলিম- প্রেসিডিয়াম সদস্য; জসিম মাতুব্বর- প্রেসিডিয়াম সদস্য; মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ- দপ্তর সম্পাদক।
এমন ত্যাগী, সাহসী, আপোষহীন, দেশপ্রেমিক, মেধাবী ও তারুণ্যের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আমাদেরকে স্বপ্ন দেখায়। বিশ্বাস করি— বঙ্গবন্ধুকন্যার যে ভিশন, সেই ভিশন বাস্তবায়নে যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব যুবশক্তিকে যুব সম্পদে রূপান্তরিত করে দারুণভাবে এগিয়ে যাবে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি এমন একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যাকে অশেষ কৃতজ্ঞতা।