Monday 24 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভিক্ষাবৃত্তি: পেশা নাকি প্রয়োজনের তাগিদ?

ড. মিহির কুমার রায়
২৩ মার্চ ২০২৫ ১৩:১৫

দেশে ভিক্ষাবৃত্তি এখনো চলছে, কেউবা প্রয়োজনে আর কেউ পেশা হিসাবে করছে তা বোঝা মুশকিল। তত্ত্ব বলছে ভিক্ষুক এই প্যারাগ্রাফটির বাংলা অনুবাদ। রাস্তার ভিক্ষুক একজন দরিদ্র ব্যক্তি যে রাস্তায় ও বাজারের মধ্যে ভিক্ষা করে। আমাদের দেশে অনেক ধরনের ভিখারি (ভিক্ষুক) আছে; রাস্তার ভিক্ষুক তাদের মধ্যে একটি। রাস্তার ভিক্ষুককে গ্রাম ও শহর উভয় স্থানেই দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের সংখ্যা গ্রামের চেয়ে শহরেই বেশি। একজন রাস্তার ভিক্ষুক নাগরিকদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। অনেক ভদ্রলোক বা মহিলা হতবুদ্ধি হয়ে যায়, যখন কোন ভিক্ষুক তার সামনে হাত বাড়ায়। অনেকে বলে, ‘আমাকে ক্ষমা করুন’। অনেক ভিক্ষুক খুব চতুর। তারা ভিক্ষা না দেয়া পর্যন্ত পথচারীকে প্ররোচিত করে। অনেক সময় ভিক্ষুক দোকান বা বাসা থেকে মূল্যবান জিনিস চুরি করে। অনেক ভিখারিণী অসামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করে। একজন ভিক্ষুক জীর্ণ পোশাক পরিধান করে। সে খুব নোংরা। একজন ভিক্ষুকের পোশাক থেকে বাজে দুর্গন্ধ বের হয়। অনেক স্থানে ভিক্ষুক ক্ষত নিয়ে ভিক্ষা করে।

বিজ্ঞাপন

ভিক্ষুক কিংবা ভিক্ষা নিয়ে মতামত

রাস্তায় ভিক্ষা করা একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনা যা কখনও কখনও ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। যারা দরিদ্র এবং সমাজের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন তাদের জীবনযাপনের অসুবিধাকে এটি প্রদর্শন করে। অনেক বড় শহরে প্রসারিত হাত এবং একটি করুণ অভিব্যক্তিসহ রাস্তার ভিক্ষুকের মুখোমুখি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। যখন মানুষের পরিস্থিতি সেই পর্যায়ে খারাপ হয়ে যায়, তখন তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণ অপরিচিতদের দয়া প্রয়োজন। রাস্তায় ভিক্ষা করা দারিদ্র্যের একটি উজ্জ্বল সূচক যা আমাদের সমাজে এখনও বিদ্যমান উল্লেখযোগ্য ফাঁকগুলিকে তুলে ধরে। রাস্তার ভিক্ষুক হল এমন একজন যিনি রাস্তায়, ফুটপাতে বা বাস স্টপে অপরিচিত লোকের কাছে যান এবং অর্থ, খাবার বা অন্যান্য সহায়তা চান। তাদের নিজেদের জন্য সরবরাহ করার জন্য সংস্থান নেই, কারণ তারা সাধারণত বাড়ি ছাড়াই থাকে বা চরম দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করে। রাস্তায় ভিক্ষা করা প্রায়শই দারিদ্র্যের লক্ষণ। লাভজনক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে না পারায় তারা সাধারণত ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করতে বাধ্য হয়। দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী লোকেরা হতাশার চক্রে আটকা পড়ে যা তাদের রাস্তায় ভিক্ষুক হয়ে উঠতে থাকে।

সমাজে ভিক্ষুক কারা ও সংখ্যায় কত?

এখন কথা হলো আমাদের দেশে কিংবা সমাজে ভিক্ষুক কারা? সাহায্য সহযোগিতা কারা পাবে? যাদের শারীরিক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে, যারা অসহায়, প্রতিবন্ধী, যাদের সাহায্য করার মতো কেউ নেই তারাই মূলত সহায়তা পাওয়ার যোগ্য। অন্ধ কিংবা একেবারেই চোখে দেখে না, হাঁটাচলা করতে পারে না, বয়স্ক অসহায় মানুষ, বিভিন্ন কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে সব হারানো অসহায় মানুষ। এই সব মানুষ সাহায্য সহযোগিতার অংশ হিসাবে ভিক্ষা চাইতেই পারে (সাময়িক সময়ের জন্য)। এই সব ক্ষেত্রে সমাজের মানুষের এবং রাষ্ট্রেরও কি দায়িত্ব রয়েছে সহযোগিতা করার? আমাদের দেশে ভিক্ষাবৃত্তি কেন বেশি? বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন, প্রয়োজন তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা। একটা সমাজে মানুষের কাজ দেখে বোঝা যায় সমাজ জীবনের প্রকৃত চিত্র। ভিক্ষাবৃত্তি কখনো ভালো কাজ নয়। সব ধর্মে ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা যায় যে বাংলাদেশে ভিক্ষুক সংখ্যা ৭ লাখ যার মধ্যে ৪০ হাজার ঢাকা শহরে বসবাস করে এবং গবেষকগন ভিক্ষুকদের ৮ ভাগে শ্রেণীবিন্যাশ করেছেন যেমন (১) সক্ষম প্রাপ্ত বয়স্ক; (২) সক্ষম শিশু; (৩) বংশানুক্ষমিক; (৪) অসুস্থ বা ছিন্নমূল; (৫) শারিরীক বিকলাঙ্গ; (৬) মানসিকবিদ্ধস্থ; (৭) বৃদ্ধ /অক্ষম; (৮)ধর্ম্মব্যবসায়ী ইত্যাদি। সরকারী দফতর কিংবা দাতাসংন্থা দারিদ্র্য গবেষনার নামে অর্থসাহায্য দিয়ে থাকে। কিন্তু ভিক্ষুকদের নিয়ে গবেষনায় টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে তা দেখা যায় না। অথচ এর প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু গ্রামীনব্যাংক-এর ব্যতীক্রম যে এই সংন্থাটি ভিক্ষুকদের কর্মসংন্থানে সুদবিহীন লোন দিয়ে থাকে যা একটি অনন্য ঘটনা। এতেকরে অনেক ভিক্ষুক স্বাবলম্বি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভিক্ষা, ভিক্ষুক কিংবা ভিক্ষাবৃত্তির বহুমাত্রিকতা

আমাদের দেশের ভিক্ষাবৃত্তির বাস্তব চিত্র ভয়াবহ এবং করুণ। ছোট শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী, মধ্য বয়সী পুরুষ-মহিলা এবং বয়স্ক নারী-পুরুষ পর্যন্ত ভিক্ষাবৃত্তির কাজটি করে। ভিক্ষাবৃত্তিকে এখন সামাজিক পেশা বানিয়ে ফেলা হয়েছে। কারণ হচ্ছে-ভিক্ষা যারা করে তারা পেশাজীবীদের মতো সকালে নাস্তা খেয়ে বের হয়, সারাদিন একই জায়গায় ভিক্ষা করে। সন্ধ্যা বা তার পরে বাড়ি ফিরে আসে। এটাকে পেশা না বলার কোনো কারণ নেই। রাজধানী ঢাকা শহরসহ বাংলাদেশের বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরগুলোতেও এই দৃশ্য দেখা যায়। ভিক্ষাবৃত্তির ক্ষেত্রগুলো হলো ট্রেন ষ্টেশন,বাস ষ্টান্ড,বাজার,কোন সামাজিক অনুষ্ঠানের বাহিরে কিংবা ষ্টিমার ঘাটে, সিএনজি পাম্পে। তাদের সংগবদ্ধ দল রয়েছে যারা বাজারটাকে নিয়ন্ত্রন করে । আমাদের দেশের মানুষ আবেগপ্রবণ। বিশেষ করে ধর্মীয় আবেগ খুব বেশি। সওয়াব হবে, জান্নাত পাবে, সুখ শান্তি হবে, উন্নতি হবে ইত্যাদির আশায় দান-খয়রাত করে থাকে। এ ক্ষেত্রে হাতপাতা মানুষগুলোকে ফিরিয়ে দিতে চায় না। আর এভাবেই ভিক্ষাবৃত্তি জিইয়ে থাকছে সমাজে। ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মানুষ রয়েছে এরা কাজ করতে অনীহাবোধ করে। ফলে ভিক্ষা করেই চলে সবসময়।আবার বৌদ্ধ ধর্মে বৌদ্ধ ভিক্ষু নামে গেড়োয়া পোশাকে মাথা নেড়ে করা এক ধরনের অবতার পাওয়া যায় যারা ভিক্ষা করে ধর্ম্মপ্রচার করে এবং তারা গৃহত্যাগী বিধায় প্রতিদিনের ভিক্ষার ফসলের উপরই তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে। তাদের জীবন দর্শন ভোগেই শান্তি নয়,ত্যাগেই শান্তি। আবার কোন দেশের আত্বসামাজিক অবস্থার উপর নির্ভর করে সে দেশের ভিক্ষুদের আর্থিক অবস্থা। যেমন জাপানের ভিক্ষুদের অবস্থা আর র্বংলাদেশের ভিক্ষুদের অবস্থা একনয় অবস্থানগত কারনে। অনেকে গাড়ীতে গান গেয়ে জীবিকা অর্জন করে রবীন্দ্র সংগীত/নজবুল/লালনের গানের উপর ভর করে যা লক্ষনীয়। আমি ২০১৮ সালে একটি আন্তর্জ্যাতিক সেমিনারে যোগদানের জন্য বোলপুরে অবস্থিত শান্তিনিকেতনে যাই এবং হাওরা থেকে বিশ্বভারতী এক্রপ্রেস ট্রেনে চরে বসি। রাস্তায় চন্দননগড় থেকে একভিক্ষুক বেশে গায়ক হারমনিয়াম নিয়ে উঠে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে যাত্রীদের মুগ্ধ করে তার সুরেলা কণ্ঠের গানে। এতে গানশুনে যত্রীরা যা বকশিস দেয় তাতেই তার সন্তোষ্ঠি। আমি তাকে প্রশ্ন কর লাম রবীন্দ্র সঙ্গীতে তার এত ঝোক কেন। তখন সে বলে এর মাঝে আমি আমার মনের মানুষকে খুজে পাই।

ভিক্ষাবৃত্তি ও জীবনের গল্প

ভিক্ষা যারা করে এটা তাদের এক ধরনের নেশা বলা যায়। দুটো বিষয়ের সঙ্গে এরা অভ্যস্ত হয়ে যেমন প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে ইন্টারেকশন হয় এবং কম বেশি টাকা হাতে আসেই। দুজন তিনজন হয়তো ফিরিয়ে দেয় কিন্তু এর মধ্যে একজন টাকা-পয়সা দিয়ে যায়। টাকা হাতে পাওয়াটাই এক ধরনের নেশা। এভাবে টাকা পায় বলে তাদের নেশা হয়ে গেছে। অন্য কাজ করে না। অন্য কাজ এদের ভালোও লাগে না। আমি লোকটাকে বললাম, এদের কারণে তো প্রকৃত অসহায়রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের মতো মানুষ বুঝি না কে দারিদ্র্যের কারণে ভিক্ষা করছে আর কে স্বভাব দোষে ভিক্ষা করছে। আরও আশ্চর্য বিষয় হচ্ছেএই রকম ভিক্ষা চাওয়ায় আমি একদিন এক মহিলাকে ভিক্ষার জন্য এক টাকার একটা কয়েন প্রদান করি। মহিলা পরিষ্কার ভাষায় আমাকে জানিয়ে দেয়, সে পাচ টাকার নিচে ভিক্ষা নেয় না। তার কথায় আমি অবাক হই! ভিক্ষাবৃত্তিকে একটা শ্রেণীর মানুষ প্রতারণা হিসাবে নিয়ে অপরাধ অপকর্মে জড়িয়ে থাকে। এরা লেবাস পরিবর্তন করে ভিক্ষাবৃত্তি করে। আবার সুযোগ পেলে চুরি ডাকাতিও করে। মানুষকে মিথ্যা বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে থাকে। ভিক্ষাবৃত্তি এখন বড় ধরনের ব্যবসা সিন্ডিকেট। এক শ্রেণীর লোক এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। এরা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, ছোট ছোট শিশু ও পথশিশুদের প্রতিবন্ধী বানিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করে, অনেক সংখ্যক ভিক্ষুক নিয়ে দলবাজি করে অপরাধ সংগঠন করে। এসব করে থাকে মূলত অর্থ উপার্জন করার জন্য। ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তারা প্রায় সবাই মাদকাসক্ত। ভিক্ষাবৃত্তি যেমন ভালো কাজ নয় তেমনি ভিক্ষাবৃত্তি সমাজের নৈতিক ও আর্থিক চরিত্রকেও বাস্তবে প্রকাশ করে।

ভিক্ষাবৃত্তির উপশম কোন পথে

শিক্ষার সুযোগ এবং কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে, রাস্তায় ভিক্ষা করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। জীবিকার মজুরি প্রদানকারী চাকরি যাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার অভাব তাদের নাগালের বাইরে। এটি তাদের দাতব্য চাওয়ার অবস্থানে বাধ্য করে। বাড়িতে সমস্যা, শারীরিক নির্যাতন, এবং পদার্থের অপব্যবহার হল গৃহহীনতা এবং ভিক্ষাবৃত্তির জীবনের অন্যান্য সাধারণ পথ। সম্পদের অভাব রাস্তায় বসবাসকারী গৃহহীন মানুষদের দ্বারা ইতিমধ্যেই সম্মুখীন হওয়া অসুবিধাগুলিকে আরও জটিল করে তোলে৷ যারা রাস্তায় ভিক্ষা করে তারা সাধারণত সাধারণ জনগণের কাছ থেকে নেতিবাচক মনোভাব এবং আচরণ পায়। বিচার, ভুল বোঝাবুঝি এবং নেতিবাচক পূর্ব ধারণা তাদের জন্য দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন করে তোলে এবং তাদের পটভূমিতে ঠেলে দেয়। যারা রাস্তায় বাস করতে পছন্দ করেন তাদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার সাথে আপস করা হয়। পর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধার অ্যাক্সেসের অভাব, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং হিংসাত্মক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সম্ভাবনা তাদের মুখোমুখি হওয়া দৈনন্দিন হুমকির কয়েকটি মাত্র। রাস্তায় জীবনযাপনের বাস্তবতা মোকাবেলা করার জন্য কিছু লোক মাদককে মোকাবিলা করার পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করে। মাদক ব্যবহার করা একটি অন্তহীন চক্র যা শুধুমাত্র গৃহহীন লোকেদের জন্য জিনিসগুলিকে আরও খারাপ করে তোলে যা শেষ করার চেষ্টা করে৷ যখন কেউ রাস্তায় ভিক্ষা করে, এটি কেবল তাদের প্রভাবিত করে না। লহরের প্রভাব সমগ্র সম্প্রদায় জুড়ে অনুভূত হয়। আপনি যদি রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তির সমাধান খুঁজতে চান, তাহলে আপনাকে জানতে হবে এটি সমাজকে কীভাবে প্রভাবিত করে। স্থানীয় অর্থনীতি নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হতে পারে যখন লোকেরা রাস্তায় টাকা চাইতে শুরু করে। ব্যাপক দারিদ্র্য এবং বৈষম্যের প্রমাণ যা অর্থনৈতিক উন্নয়নকে হুমকি দেয়। উপরন্তু, আমরা যদি সর্বদা জনসাধারণের সাহায্যের আশা করি, তাহলে আমাদের কাছে দারিদ্র্যের মূল কারণগুলি যেমন নিরাপদ কর্মসংস্থান এবং সামাজিক নিরাপত্তা জাল প্রদানের মতো মোকাবেলায় বিনিয়োগ করার জন্য যথেষ্ট অর্থ নাও থাকতে পারে। যারা পাবলিক স্পেসে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয় তাদের সাহায্য করার জন্য প্রত্যেকের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সমাজ সহানুভূতি, সহানুভূতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে যেভাবে দেখে তা বিকশিত হওয়া দরকার। সমাজ দারিদ্র্য, অবিচার এবং সামাজিক বর্জনের মতো সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য চেষ্টা করতে পারে যা মানুষকে রাস্তায় ভিক্ষা করতে অনুপ্রাণিত করে তা শিখে। যারা গৃহহীন এবং রাস্তায় ভিক্ষা করে তাদের সাহায্য করে এমন স্থানীয় দাতব্য সংস্থাকে দিয়ে যারা সংগ্রাম করছে তাদের সাহায্য করুন। তহবিলের উদ্যোগ যা রাস্তায় ভিক্ষা করে তাদের শিক্ষা এবং দক্ষতা অর্জন করতে সাহায্য করে যা তাদের লাভজনক কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে হয়। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি আইনের জন্য লড়াই।

বেকার শ্রমিক নিতে ব্যবসা এবং সেক্টর অনুপ্রাণিত। আমরা রাস্তায় ভিক্ষাবৃত্তির চক্রের অবসান ঘটাতে পারি এবং ব্যক্তিদের মর্যাদার সাথে বাঁচতে সজ্জিত করতে পারি যদি আমরা সংস্থাগুলিকে সহায়তা করি, চাকরির প্রশিক্ষণ প্রদান করি এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করি।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), সাবেক পরিচালক, বার্ড (কুমিল্লা), সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

সারাবাংলা/এএসজি

ড. মিহির কুমার রায় ভিক্ষাবৃত্তি মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর