বরিশাল: চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ থেকে আটক চার কর্মীর পরিচয় জানা গেছে।
আটকরা হলেন- ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কয়য়ারচর এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মাঝির ছেলে মো. মিন্টু (২৮), একই উপজেলার ভরতকাঠি এলাকার ছামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মহিন হাওলাদার (২৫), পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বাহের গজালিয়া এলাকার খলিলুর রহমান গাজীর ছেলে মো. সোহেল (৪০) এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রুপসী এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৪০)।
এর আগে, শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠি লঞ্চঘাট থেকে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি আটক করে নৌ পুলিশ। বরিশাল নৌ পুলিশের একটি দল লঞ্চটি আটক করে হেফাজতে নেয়। ওই সময় লঞ্চে থাকা চারজন কর্মীকে আটক করা হয়।
এদিকে এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। শুক্রবার রাতে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক মো. সোলাইমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর এর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিনচালক পালিয়ে যায়। তবে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ভোলা থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের হতাহত যাত্রীদের ঢাকার সদরঘাটে আনা হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকার মিটফোর্ড, পঙ্গু হাসপাতাল ও বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।