ঢাকা: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরীফ ওসমান হাদির স্মরণে আয়োজিত শহীদি শপথ অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেছেন, হাদির হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম চলমান থাকবে। শহীদি শপথ পাঠে বলা হয়, আধিপত্য নিপাত যাক, দিল্লির তাবিদারি থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাক।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আয়োজিত শহীদি শপথ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘শহীদ ওসমান হাদির বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আমাদের সংগ্রাম চলবে এবং চলতেই থাকবে।’
এ সময় তিনি আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
তিনি আগামী ২৪ ও ২৫ তারিখ দেয়াললিখন ও গ্রাফিতির মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে শহিদ ওসমান হাদির বাণী পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তুলে ধরার আহ্বান জানান।
এর আগে, তিন দফা দাবিতে সোমবার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমাদের দাবির বিষয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট বার্তা পাওয়া যায়নি। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে দ্রুত বিচারিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এবং পেশাদার ও নির্ভরযোগ্য আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে শরীফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
ইনকিলাব মঞ্চ আরও জানায়, ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের দিনে সংগঠনটি কোনো কর্মসূচি পালন করবে না। আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমরা মনে করি, তারেক রহমান দেশে ফিরে আমাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করবেন।’ তিনি জানান, ২৫ তারিখের পর ইনকিলাব মঞ্চ দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
শহীদি শপথ অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে শহিদ ওসমান হাদির বড় ভাই শরীফ উমর বিন হাদি বলেন, ‘হাদি হত্যার ছয় দিন পার হলেও সরকার এখনো জাতির সামনে কোনো দৃশ্যমান সমাধান উপস্থাপন করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘জীবিত ওসমান হাদির চেয়েও শহিদ ওসমান হাদি আজ অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে আমাদের কাছে ফিরে আসছে। তার হত্যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না। যদি কেউ মনে করে, দুই মাস পর ক্ষমতা ছেড়ে দিলেই দায়মুক্তি মিলবে। তবে মনে রাখতে হবে, অপরাধীদের একদিন অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।’