ঢাকা: রাজধানীর বিজয়নগরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) বাগেরহাট জেলার সাধারণ সম্পাদক হাজরা শহিদুল ইসলাম বাবলুর (৬৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পল্টন থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান জানান, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে হোটেল বিজয়নগরের ৩ তলার ৩২৪ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন শহিদুল ইসলাম। আজ দুপুরে ওই কক্ষের বাথরুমে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। তখন হোটেল কর্তৃপক্ষ ও তার এক পরিচিত সেখান থেকে তাকে বের করে। পরবর্তীতে ৯৯৯ এ খবর দিলে সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, তিনি হার্টের রোগী ছিলেন। এর আগেও তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন। তবে বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, মৃত হাজরা শহিদুল ইসলামের ভাগনি জামাই মো. শাহিন উদ্দিন জানান, তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট কচুয়া উপজেলায়। গ্রামেই থাকেন তিনি। বুধবার নমিনেশনের ফর্ম নিতে ও পার্টির মিটিংয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন জেলা সভাপতিসহ আরও কয়েকজন। ঢাকায় আসলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে হোটেল বিজয়নগরেই সবসময় ওঠেন। তিনি হার্টের রোগী।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরে পার্টি অফিসে মিটিং শেষ করে হোটেলে গিয়ে বিকেলে খাবার খান জেলা সভাপতি ও তিনি মিলে। এরপর জেলা সভাপতি চলে গেলে তিনি একাই ছিলেন রুমে। বুধবার রাত ৮টার পর থেকে তার পরিবারের কেউ ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। বৃহস্পতিবার সকালেও না পেয়ে একপর্যায়ে তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের ফোনে জানালে তাদেরই একজন হোটেলে গিয়ে দরজা নক করেন। তবে সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সাহায্যে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, বাথরুমের দরজা বন্ধ। তখন বাথরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
স্বজনরা জানান, ২০১৮ সালেও এমপি নির্বাচন করেছিলেন তিনি। তবে পাশ করতে পারেনি। রাজনীতির পাশাপাশি মাছ ধরার ট্রলারের ব্যবসা রয়েছে তার। এ ছাড়া সুপারির ব্যবসাও করতেন। গত রমজানের মধ্যে তিনি মিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর থেকে তিনি চিকিৎসার মধ্যে ছিলেন।