Thursday 18 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:২২ | আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪২

ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হচ্ছে সেনা কর্মকর্তাদের। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম ও নির্যাতনের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক ও বর্তমান ১২ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেওয়ার দিন আজ।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন। আদেশের পরই জানা যাবে, মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে চার্জ গঠন করা হচ্ছে কি না।

এর আগে অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ধার্য ছিল ১৪ ডিসেম্বর। তবে সেদিন কোনো আদেশ না দিয়ে আজকের দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার তিন আসামি হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

পলাতক ১০ আসামির মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন সময়ে ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন- লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক।

অন্য পলাতক আসামিরা হলেন-শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ তৌহিদুল উল ইসলাম, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মখছুরুল হক।

গত ৯ নভেম্বর গ্রেফতার তিন আসামির অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু। তিনি বেআইনি আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং গুম এই চারটি কারণ উল্লেখ করে অব্যাহতির আবেদন জানান। ট্রাইব্যুনাল বেআইনি আটক, অপহরণ ও নির্যাতনের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়ার কথা জানান। পরে পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী হাসান ইমাম, আমির হোসেনসহ অন্যরা।

এ মামলায় প্রসিকিউশন মোট পাঁচটি অভিযোগ আনে। গত ৭ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জেআইসি সেলে সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের গুম করে দীর্ঘদিন নির্যাতনের ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ২৬ জনের ঘটনার বিবরণ উপস্থাপন করেন। শুনানি শেষে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন করেন তিনি।

এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর পলাতক আসামিদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনার পক্ষে স্বেচ্ছায় মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি ৩ ডিসেম্বর তিনি সরে দাঁড়ান। তারপর শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. আমির হোসেনকে।

গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা তিন সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির করতে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে, ৮ অক্টোবর প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করলে আদালত তা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

 

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর