রংপুর: গঙ্গাচড়া উপজেলায় একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের গিড়িয়ারপাড় এলাকার একটি ডোবার পাশ থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম রবিউল ইসলাম (২৯)। তিনি রংপুর সিটি করপোরেশনের ১০নং ওয়ার্ডের কেরানীরহাট বখতিয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন এবং পাশাপাশি রাতে অটোরিকশা চালিয়ে অতিরিক্ত আয় করতেন।
নিহত যুবক অটোরিকশা বিক্রির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে ফেরেননি। এই ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বুধবার বড়বিল ইউনিয়নের গিড়িয়ারপাড় এলাকায় একটি ডোবার পাশে কালভার্টের ভেতর এক কৃষক জুতা দেখতে পান। পরে ভেতরে তাকিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি দেখে আশপাশের লোকজনকে খবর দেন। স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
রবিউলের বড় ভাই মাসুদ রানা জানান, ‘মঙ্গলবার বিকেলে অটোরিকশা বিক্রির জন্য বাড়ি থেকে বের হন রবিউল। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতে পরিবারের সদস্যরা তাকে অনেক খুঁজেছেন। কিন্তু কোনো সন্ধান না পেয়ে আজ সকালে হাজিরহাট থানায় যান। সেখানে তারা জানতে পারেন যে গঙ্গাচড়ায় অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবার লাশ শনাক্ত করে।
মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা রাতভর উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন এই ঘটনায় আমাদের পরিবার ভেঙে পড়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিআইডি এবং পিবিআই। গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, ‘সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‘
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।