সিলেট: সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় পর্যটক ও আনসার সদস্যসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার তামাবিল মহাড়কের করিচের ব্রিজের দক্ষিণ পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাফলংগামী পর্যটকবাহী একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ডিআই পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই বাসে থাকা এক পর্যটকের মৃত্যু হয়।
নিহত যুবকের নাম মোহাম্মদ জিহাদ (২০)। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লার বাসিন্দা। তার পিতার নাম নুরুল হক নুরা।
এসময় বাসে থাকা আরো ১৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে অনেকেই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অন্যদিকে, দুপুর ১২টার সময় একই উপজেলার হরিপুর এলাকায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় আনসার সদস্য মোস্তফা নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি শেরপুর জেলার নকলা থানার গণপতি পোস্ট অফিস এলাকার বারৈকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ঢাকা মিরপুর থেকে ছেড়ে আসা পর্যটক ভ্রমণবাহী একটি সাদা মাইক্রোবাস জাফলং অভিমুখে যাওয়ার পথে হরিপুর এলাকার ৭নং গ্যাস কূপ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশে থাকা একটি দোকানের বারান্দায় উঠে যায়। এসময় চাপা পড়ে নিহত হন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আনসার সদস্য মোস্তফা।
এ ঘটনায় সিএনজির চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লা। তিনি বলেন, একই দিনে দুইটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ, তামাবিল হাইওয়ে থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।