ঢাকা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে নির্ধারিত প্রচার সময়ের বাইরে রিটার্নিং অফিসারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো জাতীয়, সামাজিক, ধর্মীয় বা এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। এরই মধ্যে এ নির্দেশনা সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা যায়। রাতে নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল গত ১১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫’ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী, নির্ধারিত শর্তাদি প্রতিপালন সাপেক্ষে, ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ পূর্ব থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচারণা করা যাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, এই সময়সীমার বাইরে, নির্বাচনি পরিবেশ বিঘ্নিত না করে তথা নির্বাচনি পরিবেশ এবং উল্লিখিত আচরণ বিধির শর্তাদি প্রতিপালনপূর্বক জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও এহেন অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেতে পারে। বর্ণিত অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের সম্মতি/অনুমতি গ্রহণ করতে হবে।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।