Monday 15 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিএনপি ঠেকাতে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী দাঁড়িয়ে গেছে: মির্জা আব্বাস

স্টাফ কারেসপন্ডেন্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:২৮ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০০:০০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বিএনপিকে ঠেকাতে মানুষকে উসকানি দিতে এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী দাঁড়িয়ে গেছে বলে মনে করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এরা দলদাসে পরিণত হয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন বক্তৃতার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর জাতি যেভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যার শিকার হয়েছিল, সেই ক্ষতি আজও আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আজ আবার নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। এই চক্রান্ত অব্যাহত থাকলে দেশ ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি অভিযোগ করেন, একটি শ্রেণি নিজেদের বুদ্ধিজীবী পরিচয় দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকলেও দেশের ভবিষ্যৎ অগ্রগতির কোনো রূপরেখা তারা তুলে ধরেন না। বরং বিএনপিকে ঠেকানোর উদ্দেশ্যে তারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য ছড়াচ্ছেন।

‘বিএনপি ঠেকাও বুদ্ধিজীবী দাঁড়িয়ে গেছে। তারা মানুষকে উসকানি দেয়, ভাষণ-বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়। এরা মূলত দলদাস,’-বলেন তিনি।

গুলির ঘটনা প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গত দুই দিনে যে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে, যারা এসব করে তারা একটি চিহ্নিত দল। এই দলটি কখনোই বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে দেবে না,’ বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, একটি মহল আগামী নির্বাচনে ‘৫৪ বছরের প্রতিশোধ’ নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ‘কিসের প্রতিশোধ? কার বিরুদ্ধে? যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে, না কি নতুন প্রজন্মের বিরুদ্ধে?’— প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের হত্যাকাণ্ড থেকে দূরে থাকতে চায়। কিন্তু যারা হত্যাকাণ্ড ঘটাবে, বিএনপি তাদের প্রতিরোধ করবে।’

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনারা ভাববেন না আমরা নীরব আছি বা নিরব থাকব। তার মানে এই নয় যে আঘাত এলে আমরা সালাম দিয়ে চলে যাব। এই ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভা সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নাসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিজ্ঞাপন

ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:২৯

আরো

সম্পর্কিত খবর