Monday 08 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হানিফের মামলায় প্রথম, ইনুর মামলায় চতুর্থ সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

‎স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৫২ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে আজ। একই দিনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর মামলায় চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণও অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের সামনে এ সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে।

২৫ নভেম্বর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের পর আজ প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করে ট্রাইব্যুনাল। ওই বক্তব্যে মামলার প্রমাণাদির বিস্তারিত, সাক্ষীর তালিকা, অডিও-ভিডিও ফুটেজ ও পত্রপত্রিকার নথি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন আসামিদের পক্ষ থেকে বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয় প্রাধান্য দিয়ে যেন কাউকে বিচার করা না হয়।’

হানিফ ছাড়া মামলার অন্য তিন আসামি হলেন— কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা।

এই মামলায় মোট সাক্ষী ৩৮ জন— এর মধ্যে শহিদ পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, আহত, আন্দোলনকারী, সাংবাদিক, পুলিশ সদস্য ও তদন্ত কর্মকর্তারা রয়েছেন।

এর আগে ২ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। তিনটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে— উসকানি, ষড়যন্ত্র এবং কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করা হয়।

হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে হত্যা, উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ আটটি অভিযোগে টানা তৃতীয় দিনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয় গত রোববার (৭ নভেম্বর)। এদিন জব্দ তালিকার সাক্ষ্য দেন তদন্ত সংস্থার রেকর্ড শাখার এসআই মো. কামরুল হোসেন। পরে তাকে জেরা করেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।

ইনুর মামলায় প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন মো. রাইসুল হক, যিনি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছিলেন। তিনি জানান, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর নির্দেশদাতা ছিলেন ইনু। এ হামলায় ছয়জন নিহত হয় এবং তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। সাক্ষী ইনুর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

৩০ নভেম্বর মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। একই দিন অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ইনুর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয় ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে আটটি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন স্থানে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়। এতে নিহত হন শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী ও চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ। আহত হন বহু মানুষ।

তদন্ত শেষে কুষ্টিয়ার ছয় হত্যার ঘটনাসহ তিনটি অভিযোগ আনা হয় হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে এবং মোট আটটি অভিযোগ আনা হয় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে।

সারাবাংলা/টিএম/এএ
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর