Sunday 07 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজধানীর বাজারে সবজির দাম চড়া, কিছুটা স্বস্তি পেঁয়াজ–ডিম–মুরগিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০৯ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৬:১৫

শীতকাল হলেও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর, কারওয়ান বাজার, ভাষণটেকসহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে—শীতকাল হলেও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত–নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো অতিরিক্ত চাপের মধ্যে পড়েছে। তবে পেঁয়াজ, ডিম ও মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তির ইঙ্গিত মিলেছে।

বাজারে নতুন করে আসা তাজা বেগুনের দাম ক্রেতাদের বিস্মিত করেছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০–১২০ টাকায়— যা সাধারণত গরমকালে দেখা যায়। শীতকালে বেগুনের দাম ৪০–৬০ টাকার মধ্যে থাকার কথা। ভাষণটেক বাজারের এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘শীতের বাজারে সবজির এমন দাম আগে দেখিনি। বেগুন কিনলেই বাজেট নড়বড়ে হয়ে যায়।’ মিরপুর কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম এবং পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমানোর সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

ফুলকপি–বাঁধাকপি বাজারেও একই চিত্র। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪৫–৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে অন্যান্য বছর এই সময় দাম ছিল ২০–৩০ টাকা। শিমের দামও ক্রেতাদের উদ্বিগ্ন করছে—নতুন শিম ১০০ টাকা বা তারও বেশি, আর সবুজ শিম ৭০–৮০ টাকা কেজি। বরবটি মিলছে ৭০–৮০ টাকায় এবং ঢেঁড়স–পটল ৫০–৭০ টাকায়। নতুন আলুর ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত দাম বজায় রয়েছে। বাজারভেদে নতুন আলু ১২০–১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নতুন আসা মিষ্টি কুমড়া ৮০–১০০ টাকায় এবং বিভিন্ন শাকের দাম প্রতি আঁটি ২০ টাকা বা তারও বেশি, যেখানে শীতকালে সাধারণত দাম থাকে ১০–১৫ টাকা।

সবজির এমন অস্বাভাবিক দামের মধ্যে খানিকটা স্বস্তির খবর এসেছে পেঁয়াজের বাজার থেকে। কোথাও কোথাও দেশি পেঁয়াজ এখনো ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও কিছু স্থানে দাম সামান্য কমেছে। কয়েকটি দোকানে দেশি পেঁয়াজ ১১০–১১৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতাদের আশা—সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ দ্রুতই আগের দামে ফিরে আসবে।

অন্যদিকে, ডিম ও মুরগির বাজার আপাতত তুলনামূলক স্থিতিশীল। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১২৫–১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। ব্রয়লার মুরগির দামও সহনীয়—প্রতি কেজি ১৬০–১৭০ টাকা।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, শীতের সবজি প্রচুর পরিমাণে মাঠে থাকলেও বাজারে সরবরাহ এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় খুচরায় কমানোর সুযোগ নেই। তবে প্রশাসন জানায়, অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি বা মজুতদারি প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সার্বিকভাবে সবজি বাজার এখনও ক্রেতাদের জন্য ভারী বোঝা হয়ে আছে। তবে পেঁয়াজ, ডিম ও মুরগির দামে স্থিতিশীলতা—ভোক্তাদের সামান্য হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।

সারাবাংলা/এফএন/জিজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর