ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের (প্রাথমিক) নাম ঘোষণা করেছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা প্রকাশ করেন। তবে তালিকায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার নাম অনুপস্থিতি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ থেকেই তিনি এ আসনে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। ফলে অনেকের প্রত্যাশাই ছিল এ আসনে তিনিই হবেন দলীয় প্রার্থী।
কিন্তু সোমবার ঘোষিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনের মধ্যে ৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও সেখানে রুমিন ফারহানার নাম নেই। তবে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসন খালি রাখা হয়েছে।
ঘোষণার সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়; প্রয়োজনে পরিবর্তন আনা হতে পারে।’ অর্থাৎ দল এখনো কৌশলগতভাবে কিছু আসন ধরে রেখেছে, যেখানে পরে সমন্বয় বা জোটগত সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী নির্ধারণ হতে পারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন ঐতিহাসিকভাবে বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অতীতে এ আসন থেকে দলটি একাধিকবার বিজয়ী হয়েছে।
রুমিন ফারহানার বাবা, ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদ বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। প্রশাসনিক পুনর্গঠনের আগে এলাকা ছিল সদর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত, যা ২০১২ সালে বিজয়নগর উপজেলা হিসেবে আলাদা হয়। বর্তমানে রুমিন ফারহানা সরাইলের শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্থাৎ, তিনি সরাসরি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ভোটারও।