Monday 08 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার মামলা
শেষ হলো রাজসাক্ষী মামুনের জেরা, পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ৮ সেপ্টেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৯ | আপডেট: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২৯

শেখ হাসিনা।

ঢাকা: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জেরা শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ট্রাইব্যুনাল-১ এর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরীর একক বিচারিক প্যানেল এ দিন ধার্য করেন।

এদিন বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি মামুনকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। দুপুর সোয়া ১টার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আড়াইটা থেকে ফের জেরা শুরু হয়ে বিকেল প্রায় ৫টা পর্যন্ত চলে। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, তারেক আবদুল্লাহ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যরা।

এর আগে, ২ সেপ্টেম্বর রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন চৌধুরী মামুন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আংশিক জেরা করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর স্টেট ডিফেন্সের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাকি জেরার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

মামানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার এ মামলায় চৌধুরী মামুনসহ এখন পর্যন্ত ৩৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। জবানবন্দিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালসহ জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর