Thursday 11 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আবু সাঈদ হত্যা: আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ আগস্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৩৮

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ছবি কোলাজ: সারাবাংলা

ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এ মামলার সূচনা বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (৬ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

বিজ্ঞাপন

এদিন আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেরোবি ভিসিসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মঈনুল করিম।

পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী ছিলেন। এছাড়া বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আমিনুল গণি টিটো, সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে আজিজুর রহমান দুলু ও ছাত্রলীগ নেতা আকাশের পক্ষে সালাহউদ্দিন রিগ্যান ছিলেন।

এদিন সকালে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে এ মামলার ছয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। তারা হলেন- এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

এর আগে, ৩০ জুলাই এ মামলার ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠনের আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিন পলাতক আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত চার আইনজীবী।

এর মধ্যে পাঁচজনের হয়ে লড়েন আইনজীবী সুজাত মিয়া। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মামুনুর রশীদ। এছাড়া শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলাম।

প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।

গত ২৯ জুলাই তিন আসামির পক্ষে শুনানি হয়। এর মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর মো. শরিফুল ইসলামের হয়ে লড়েন আইনজীবী আমিনুল গণি টিটো। কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন রিগ্যান। এই তিনজনেরই অব্যাহতি চান আইনজীবীরা।

গত ২৮ জুলাই এ মামলার ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করে প্রসিকিউশন। ওই দিন আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি এ মামলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ মামলার অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি হয়।

গত ২২ জুলাই এ মামলায় বেরোবির সাবেক ভিসি, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনারসহ পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

এর আগে, ১৩ জুলাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য মামলায় গ্রেফতার রাসেল ও পারভেজকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পলাতক ২৪ জনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

গত ৩০ জুন মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে, ২৪ জুন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এ ঘটনায় মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

সারাবাংলা/আরএম/এমপি
বিজ্ঞাপন

সচিবালয় থেকে ৪ আন্দোলনকারী আটক
১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:৪৮

আরো