ঢাকা: দেশের ৯৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিয়মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করেন, যা ২০২৪ সালের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত টেলিনর এশিয়া ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড ২০২৫: বিল্ডিং ট্রাস্ট ইন বাংলাদেশ’স এআই ফিউচার শীর্ষক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। এটি বাংলাদেশের ১,০০০ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর পরিচালিত গবেষণার চতুর্থ সংস্করণ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্মার্ট জীবনধারা ও এআই ব্যবহারে মোবাইল প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০২৫ সালে দেশের ৯৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিয়মিত এআই ব্যবহার করছেন। ২০২৪ সালে এই হার ছিল ৮৮ শতাংশ।
এআইকে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে একীভূত করতে মোবাইল ফোন বিশেষ ভূমিকা রাখছে। অনলাইন শিক্ষা ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ, দূরবর্তী কাজের ক্ষেত্রে ৫৪ শতাংশ এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ব্যবহারকারীর এআই ব্যবহার দেখা গেছে। গত এক বছরে দূরবর্তী কাজ (+৩৯%) এবং বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থাপনায় (+৩৬%) মোবাইলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্মার্ট হোম ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মতো এআইচালিত ফিচারের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করছে মিলেনিয়ালরা।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষা ও অর্থনীতিতে এআই আশার সঞ্চার করছে। দেশে প্রায় ১০ জনের মধ্যে ৬ জন এখন প্রতিদিন কোনো না কোনো ধরনের এআই ব্যবহার করছেন।
কর্মক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের হার ২০২৫ সালে ৪৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬২ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে যারা কর্মস্থলে এআই ব্যবহার করছেন, তাদের মধ্যে মাত্র অর্ধেক জানিয়েছেন যে তাদের প্রতিষ্ঠানে এআই-এর আনুষ্ঠানিক কৌশল রয়েছে। বর্তমানে দৈনন্দিন ও প্রশাসনিক কাজে এআই ব্যবহারের হার মাত্র ২৮ শতাংশ।
এআই-এর অগ্রগতি নিয়ে তরুণ প্রজন্মের উদ্বেগও বাড়ছে। বাংলাদেশে মানুষ দৈনন্দিন জীবনে এআই গ্রহণ করলেও, ব্যক্তিগতভাবে এআই-এর ওপর অতিনির্ভরতা, চাকরির নিরাপত্তাহীনতা এবং গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মই সবচেয়ে বেশি এআই ব্যবহার করছেন এবং নিজেদেরকে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ মনে করেন। তবুও তারা এআই-এর অগ্রগতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইওন ওমুন্ড রেভহগ বলেন, “বাংলাদেশে দৈনন্দিন জীবনকে বদলাতে মোবাইল ফোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্মার্ট ও সংযুক্ত সমাজ গঠনে এটি শক্তিশালী হাতিয়ার। সংযোগ হলো ভিত্তি, আর এর প্রতিটি স্তরে আস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য। বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে এবং সবার কাছে নিরাপদ ও সুরক্ষিতভাবে মোবাইল প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দিতে টেলিনর এশিয়া সংকল্পবদ্ধ।”
রিপোর্ট সম্পর্কিত আরও তথ্য এখানে জানা যাবে