বর্তমান সময়ে আমরা সবসময় নিজেদের স্মার্টফোনেই ডুবে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নান কাজসহ অফিস ও শিক্ষা যোবনের নানা কোজ করে থাকি এই স্মার্টফোনেই। কিন্তু আমরা আমাদের স্মার্টফোনটিকে কখনো নিয়ম মেনে রিস্টার্ট করি না।
আসুন জেনে নেই, স্মার্টফোন কেন রিস্টার্ট করা জরুরি-
ফোন রিস্টার্ট বা পুরোপুরি বন্ধ করে আবার চালু করলে ফোনের র্যাম (অস্থায়ী মেমোরি) পরিষ্কার হয়, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলমান অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ হয়ে যায় এবং অপারেটিং সিস্টেম নতুনভাবে শুরু হয়। এর ফলে স্মার্টফোনে কাজের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুবিধাও মেলে।
রিস্টার্ট করলে যে সুবিধা:
* ফোনের গতি বাড়ে: যদি ফোন স্লো হয়ে যায় বা অ্যাপ চালু হতে সময় নেয়, তাহলে রিস্টার্ট করে দেখুন। অপ্রয়োজনীয় প্রসেস বন্ধ হয়ে গেলে ফোন আগের মতো দ্রুত কাজ করতে শুরু করে।
* ব্যাটারি ব্যাকআপ উন্নত হয়: পেছনে চলা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বা সফটওয়্যার বাগের কারণে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। রিস্টার্ট করলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়ে।
* অ্যাপ ক্র্যাশ ও হ্যাং হওয়া কমে: কোনো অ্যাপ আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়া বা হ্যাং করা একটা সাধারণ সমস্যা। রিস্টার্ট করলে এই সমস্যা অনেক সময়ই দূর হয়ে যায়।
* নেটওয়ার্ক সমস্যা দূর করে: কল ড্রপ, মোবাইল ডেটা না চলা বা সিম না ধরা—এমন সমস্যা হলে রিস্টার্ট করলে ফোন নতুন করে নেটওয়ার্ক ধরে এবং সমস্যা মিটে যায়।সেরা স্মার্টফোন
* ওভারহিটিং কমে: দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার বা চার্জ দেয়ার পর গরম হয়ে গেলে রিস্টার্ট করলে ডিভাইস ঠান্ডা হয় এবং প্রসেসর রিল্যাক্স পায়।
কতদিন পর পর ফোন রিস্টার্ট করা উচিত:
সপ্তাহে অন্তত ১ বার ফোন রিস্টার্ট করা উচিত। যদি ফোন হঠাৎ স্লো হয়ে যায় বা বেশি গরম হয়, তবে তখনই রিস্টার্ট করুন। যারা অনেক অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের প্রতি ৩-৪ দিনে একবার রিস্টার্ট করা উপকারী।
আবার প্রতিদিন বারবার রিস্টার্ট করাও উচিত নয়। এতে হার্ডওয়্যারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট দিন। এতে ফোনের সিস্টেম আরও স্থিতিশীল হয় এবং রিস্টার্টের প্রয়োজন কমে।
এক মিনিটের একটি সহজ কাজ ‘ফোন রিস্টার্ট’ কিন্তু এর উপকারিতা অসীম। এটি ফোনের গতি বাড়ায়, ব্যাটারির আয়ু ধরে রাখে, হ্যাং বা অ্যাপ ক্র্যাশ প্রতিরোধ করে এবং সামগ্রিকভাবে ফোনের পারফরম্যান্স উন্নত করে।