রংপুরকে জয়ের কাছে নিয়ে গিয়ে ‘হারালেন’ সাইফউদ্দিন
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৯ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:২২
দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের জন্য রংপুর রাইডার্সের প্রয়োজন ছিল কেবল ১২০ রান। কিন্তু ৪৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের রাস্তাটা দূরহ করে তুলেছিল রংপুর। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে টানার চেষ্টা করছিলেন। শেষ দিকে ব্যাটে ঝড় তুলে রংপুরকে জয়ের একদম কাছাকাছিই নিয়ে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেই সাইফউদ্দিনের ভুলেই ম্যাচ হেরেছে রংপুর!
২০তম ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল রংপুরের। রাজশাহীর অনিয়মিত স্পিনার জিসান আলম বোলিং করতে এলে ওভারের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করে ফেলেছিলেন সাইফউদ্দিন। এরপরের দুই বলে সুযোগ পেয়েও রান নেননি সাইফউদ্দিন।
মাঠের বাইরে থেকে দেখে মনে হয়েছে, চেষ্টা করলে ওই দুই বলে সহজেই দুটি করে রান পেয়ে যেতেন সাইফউদ্দিন। সেক্ষেত্রে স্টাইকটাও তার হাতেই থাকত। কিন্তু কেনজানি রান নিতে চাননি সাইফ। শেষ দুই বলে একটি হার, একটি ছক্কা হাঁকালেও তাই ২ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। কিন্তু সেই দুই বলে দুটি করে রান নিলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত রংপুর।
এই ম্যাচের আগে দুর্বার রাজশাহীকে নিয়ে তুলকালাম হয়েছে। বারবার সময় নিয়েও পেমেন্ট দিতে পারেনি বলে রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা আজ ম্যাচ বয়কট করেছেন। যাতে শুধুমাত্র দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে একাদশ সাজাতে হয়েছে রাজশাহীকে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে তুমুল। তবে এর মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচ জিতে নিল রাজশাহী।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীর ১১৯ রানের জবাব দিতে নেমে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুর আজ যেভাবে ভেঙে পড়ল তা রীতিমতো বিরল। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে ফেরেন রংপুরের ওপেনার স্টিফেন টেলর। সেই শুরু, এরপর রংপুরের উইকেট শুধু পড়ছিলই।
তাসকিন আহমেদ আজও ভালো বোলিং করেছেন। তবে রাজশাহীর হয়ে আজ আলাদা করে নজর কেড়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। দুর্দান্ত পেসে রংপুরের ব্যাটারদের স্রেফ নাচিয়েছেন। কিন্তু মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। শেষ দিকে ঝড় তুলে রংপুরকে জয়ের কাছাকাছিও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষে নিজেই গড়মিল করে দলকে ডুবিয়েছেন।
২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৭ রানে থেমেছে রংপুর। সাইফউদ্দিন আটে ব্যাট করতে নেমে ৩১ বলে ৬টি চার ৩টি ছয়ে ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ২২ বলে ২০ করেছেন নয়ে নামা রাকিবুল হাসান।
রাজশাহীর হয়ে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মোহর শেখ।
এর আগে ১১৯ রানে থেমেছে রাজশাহী। দুই ওপেনার জিসান আলম ও সাব্বির হোসেনকে শুরুতেই হারিয়েছে রাজশাহী। তিনে নেমে রান পাননি এনামুল হক বিজয়ও (১৬ বলে ১৩ রান)। চারে নামানো হয়েছিল পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে।
ব্যাটিং অর্ডার উন্নতি করে নামা মৃত্যুঞ্জয় ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১০ বলে ১০ রান করে ফিরেছেন। রাজশাহীর মিডল অর্ডার রীতিমতো ধসে পড়েছে রংপুরের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে। ইয়াছির আলি রাব্বি, মেহরাবরা দাঁড়াতেই পারেননি।
৫৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজশাহী। সেখান থেকে আকবর আলি ও স্পিনার সানজামুল ইসলাম রাজশাহীকে কোনো মতে একশর ওপারে নিয়েছেন। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রানে গুটিয়ে গেছে রাজাশাহী। ২১ বলে ১৯ করেছেন আকবর। ২৮ রান করেছেন সানজামুল। শেষ দিকে ৮ বলে ১৩ রান করেছেন তাসকিন আহমেদ।
সারাবাংলা/এসএইচএস