সিলেটকে সহজেই হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৪ নম্বরে খুলনা
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩০ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৬
সিলেট স্ট্রাইকার্সের ১৫২ রানের জবাব দিতে নেমে খুলনা টাইগার্সের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখের ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই এলো ৫৯ রান। শেষ দিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, উইলিয়াম বসিস্তো কার্যকারী দুটি ইনিংস খেললেন। সব মিলিয়ে সহজেই সিলেটের ১৫২ রানের টার্গেট পেরিয়ে ৬ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে বসল মেহেদি হাসান মিরাজের দল। ৯ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে খুলনা। অপর দিকে পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচের স্থানটি আরও সু-সংহত হলো সিলেট স্ট্রাইকার্সে। আজ নবম ম্যাচ খেলতে নেমে সপ্তম হারের তেতো স্বাদ পেল সিলেট।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় ওপেনিং জুটিটাই ম্যাচের অর্ধেকটা জিতিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাঈম শেখের ৭ ওভারের ওপেনিং জুটিতে উঠেছে ৬৯ রান। নাঈম শেখ ১৭ বলে ২০ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
তিনে নেমে আফিফ হোসেন ধ্রুব রান পাননি। আউট হয়েছেন ৫ বলে ৩ রান করে। দলীয় ১০৬ রানের মাথায় মেহেদি হাসান মিরাজ ৭০ রান করে ফিরেছেন। ম্যাচ তখন খুলনার আয়ত্বে। ৫০ বলে ৮টি চার ২টি ছয়ে ৭০ রান করে ফিরেছেন খুলনার অধিনায়ক।
বাকি কাজটা সেরেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও উইলিয়াম বোসিস্তো। ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন বোসিস্তো। ১১ বলে ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন বোসিস্তো। মাহিদুল অঙ্কন ১৩ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে পাওয়ার প্লে’তে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে সিলেটও। শুরুতে সিলেটের ওপেনার জর্জ মান্সি রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন। মিরাজ আর হাসানের দুই ওভারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ারপ্লেতেই দলের রান নিয়ে যান ৫৮-তে। বড় সংগ্রহের এই ভিত পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সিলেটের স্ট্রাইকার্সের ব্যাটাররা। শেষ ওভারে সুমন খানের এক ছক্কায় দেড়শ পেরিয়েছে সংগ্রহ। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫২ রানে তোলে সিলেট।
শুরুতেই সাফল্য পাওয়া মিরাজের পরের ওভারেই স্টিম রোলার চালিয়েছেন মান্সি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বল ডট গেলেও পরের চার বলে মান্সি মেরেছেন চারটি বাউন্ডারি। ওভার শেষ করেছেন ছক্কা মেরে। সেই চারটি বাউন্ডারির তিনটিই মান্সি মেরেছেন রিভার্স সুইপে। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে হাসানকেও পিটিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার, দুই চার এক ছক্কায় তুলেছেন ১৬ রান। তাণ্ডুবে ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই বাঁহাতি ওপেনার বোল্ড হয়েছেন আবু হায়দার রনির বলে।
এক বল আগেই অবশ্য একটা ছক্কা হজম করেছিলেন রনি, তবে এক বলের ব্যবধানে দারুণ এক ব্যাক হ্যান্ড স্লোয়ারে নেন প্রতিশোধ। আউট হওয়ার আগে জাকির হাসানের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৭৪ রানের জুটি, যেখানে মান্সির অবদানই বেশি। ৩২ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলা জাকিরও বোল্ড রনির বলেই।
ফিনিশার রোলে নামা জাকের আলী অনিকও আজ ব্যর্থ। আমের জামালের বলে মিড উইকেটে বদলি ফিল্ডার মাহমুদুল হাসান জয় দারুণ এক ক্যাচে ফিরিয়েছেন তাকে। অধিনায়ক আরিফুল ইসলাম এলবিডব্লিউ ব্যক্তিগত এক রানের মাথায়। শেষ ছয় ব্যাটারের পাঁচজনই থেমেছেন সিঙ্গেল ডিজিটে।
সালমান ইরশাদ ,আবু হায়দার রনি ও হাসান মাহমুদ; তিনজনই নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ।
সারাবাংলা/এসএইচএস