কবে বিশ্রাম পাবেন নাহিদ রানা?
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৪
গত বছরের নভেম্বর থেকে টানা খেলার মধ্যেই আছেন নাহিদ রানা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এক টেস্টের পর খেলেছেন ওয়ানডে সিরিজের দুই ম্যাচ। দেশে ফিরে ১০ দিনের ব্যবধানে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে নেমে গেছেন এবারের বিপিএলে। খেলেছেন টানা সাত ম্যাচ। টানা খেলার ধকল পড়েছে তার বোলিংয়েও। বিশেষত বিপিএলের সিলেট পর্বে তার মূল অস্ত্র গতি কমতে দেখা গেছে অনেকটাই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তার ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে।
সিলেট পর্বে চারদিনের ব্যবধানে তিন ম্যাচে রানাকে খেলানোর পর সমালোচনা হয়েছে রংপুর রাইডার্সের ম্যানেজমেন্ট নিয়েও। তবে নাহিদ রানা বলছেন, নিজের সুবিধামতো বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ তাকে দিয়ে রেখে রংপুর ফ্র্যাঞ্চাইজি। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকেও তদারকি করা হচ্ছে নিয়মিত।
আজ (বৃহস্পতিবার) এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে দলীয় অনুশীলনের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন নাহিদ রানা। সেখানেই জানালেন, তার কখন বিশ্রাম দরকার সেটা তিনি নিজেই ভালো বুঝেন। কীভাবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করছেন বাংলাদেশের এই গতি তারকা?
নাহিদ বলেন, ‘আসলে একজন ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোডের বিষয়টা সে নিজেই জানবে। সে নিজের শরীর নিজে ভালো বুঝবে যে কখন ভালো আছে। আমার শরীর এখন আমি ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে সহায়তা করছে। বিসিবি থেকেও খোঁজখবর নিচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো।’
টানা খেলার ধকলে চোটের শংকা তো বটেই, মানসিকভাবেও ক্লান্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে ক্রিকেটারদের। সেই বিষয়টা আছে নাহিদের ভাবনাতেও। এই প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘মানসিকভাবে অবশ্যই বিশ্রামেরও প্রয়োজন আছে। টানা খেললে চোট পাওয়ার শঙ্কা থাকে। এখন আলহামদুলিল্লাহ্ শরীর ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্সও আমাকে ভালো সহায়তা করছে। তারা বলেছে, তোমার যখন বিশ্রাম লাগবে আমাদের বলবে। তাদের সঙ্গে আমার কথা চলছে। যখন বিশ্রাম লাগবে, আমি তাদের বলব।’
পেসার হিসেবে ক্যারিয়ারের উঠতি সময়েই চোটে পড়ার বাস্তবতা মেনে নিয়েছেন নাহিদ। কীভাবে চোট মুক্ত থেকে খেলা যায় সেসব নিয়েই কাজ করছেন জানিয়ে রংপুরের হয়ে ৭ ম্যাচে ৯ উইকেট নেয়া এই পেসার বলেন, ‘পেস বোলিংয়ে চোট আসবেই। ক্রিকেট খেলতে গেলেই ইনজুরি হবেই। এই জিনিসটা যত দূর সম্ভব নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছি যে কোন কাজগুলো করলে ইনজুরি থেকে মুক্ত থাকা যায়, সেই জিনিসগুলোই করছি।’
সারাবাংলা/জেটি