রংপুরকে হারানোর সহজ সুযোগ হাতছাড়া করল খুলনা
১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৯
সময়টা এখন রংপুর রাইডার্সের! একাদশ বিপিএলে আগুনে ফর্মে রংপুর। ভাগ্যকেও পাশে পাচ্ছে দলটি। আজ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে অনেকটা হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রংপুর।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রান লাগত খুলনার। হাতে তখন ছয় ছয়টি উইকেট। তবুও কিনা জিততে পারল না খুলনা! দুই ওভার মিলিয়ে মোট পাঁচ উইকেট হারাল খুলনা। অনেকটা জেতা ম্যাচ রংপুরের হাতে তুলে দিয়েছে খুলনা। শেষ দিকের উত্তেজনা শেষে ৮ রানের জয় পেয়েছে রংপুর।
একাদশ বিপিএলে সপ্তম ম্যাচ খেলতে নামা রংপুরের এটা সাত নম্বর জয়। আগে থেকেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটার অবস্থান আরও সু-সংহত হলো। অপর দিকে টানা দুই জয়ে বিপিএল শুরু করা খুলনা হারল টানা তিন ম্যাচ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য খুলনার সামনে টার্গেট ছিল ১৮৭ রানের। শুরু থেকে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই এগুচ্ছিল খুলনা। ওপেনার দারউচ রাসুল ১৭ রান করে ফিরলে সেই শূন্যতাটা বুঝতেই দেননি মেহেদি হাসান মিরাজ।
ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি করে নিজে তিন নম্বরে নেমেছিলেন খুলনা অধিনায়ক মিরাজ। এই টোটকা কাজেও লেগেছে। মাত্র ২৪ বলে ৩টি চার ২টি ছয়ে ৩৯ রান করে দলকে ঠিক পথেই রেখেছিলেন মিরাজ। খুলনার অপর ওপেনার নাঈম শেখ আজ ফিফটি পেয়েছেন। ৪১ বলে ৭টি চার ২টি ছয়ে ৫৮ রান করেছেন নাঈম।
মাঝের ওভারে আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৫ বলে ২টি করে চার-ছয়ে ২৯ রান করলে জয়ের কাছাকাছিই পৌঁছে গিয়েছিল খুলনা। নে হচ্ছিল আসরে প্রথম হারটা আজ দেখতে যাচ্ছে রংপুর। কিন্তু শেষ দিকের তালগোল পাগানো ব্যাটিংয়ে খুলনা নিজেই জয় হাতছাড়া করেছে।
২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানে থেমেছে খুলনা। রংপুরের হয়ে আকিভ জাভেদ ৩ উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শেখ মাহেদি।
এর আগে রংপুরের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহে বড় অবদান খুশদিল শাহর। রংপুরের শুরুটা আজ খুব একটা ভালো হয়নি। ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস চলে যাওয়াতে রংপুরের হয়ে আজ ওপেনিং করতে নেমছিলেন স্টিভেন টেলর ও তাওফিকুল খান। দুজনের কেউই সুবিধা করতে পারেননি।
১৩ রান করে ফিরেছেন টেলর। তাওফিকুল খান ৩৬ রান করলেও ছিলেন ধীরগতির। ৩০ বল খেলেছেন এই রান তুলতে। তিনে নামা ইনফর্ম ব্যাটার সাইফ হাসানও আজ ব্যর্থ। ১১ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছেন। পাওয়ার প্লেতে কেবল ৩৫ রান তুলেছে রংপুর।
প্রথম ১০ ওভার শেষ রংপুরের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৭০। সিলেটের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে যেটা নিশ্চয় প্রত্যাশিত নয়। পরে সেই গ্যাপটা পুরণ করতে পেরেছেন দুই পাকিস্তানি খুশদিল শাহ ও ইফতিখার আহমেদ। খুশদিল শেষ দিকে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন।
৩৫ বলে ৪টি জার ৬টি ছয়ে ৭৩ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন খুশদিল। আর ইফতিখার ৩৬ বলে ৫টি চারে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। খুলনার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও আবু হায়দার রনি।
সারাবাংলা/এসএইচএস