আলিস-সানির স্পিন জাদুতে বড় জয় চিটাগং কিংসের
৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৫
লক্ষ্য ছিল পাহাড়সম ২২০ রান। সেই লক্ষ্য ছোঁয়া দূরে থাক, চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ন্যুনতম লড়াইটাও করতে পারল না দুর্বার রাজশাহী। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের রান পাহাড়ে চাপা পড়ল দলটা। আলিস আল ইসলাম-আরাফাত সানির স্পিন জাদুর সাথে শরীফুল ইসলাম-মোহাম্মদ ওয়াসিমের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১১৪ রানে গুটিয়ে গেছে আগের ম্যাচে দারুণ জয় পাওয়া রাজশাহী। ১০৫ রানের ব্যবধানে হারলেন এনামুল হক বিজয়রা।
উসমান খানের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরির সাথে গ্রাহাম ক্লার্ক, মোহাম্মদ মিথুনের দারুণ দুটো ক্যামিওতে রাজশাহীর বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে ২১৯ রানের সংগ্রহ পায় চিটাগং। রান তাড়ায় নেমে ব্যর্থ আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে রাজশাহীর দুই জয়ের নায়ক এনামুল বিজয় ও রায়ান বার্ল। চার ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন রহস্য স্পিনার খ্যাত আলিস। বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানিরও শিকার তিন উইকেট।
২২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার সাব্বির হোসনকে হারায় রাজশাহী। টানা দুই চারে ইনিংস শুরু করেছিলেন এই ডানহাতি ওপেনার। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ও আজ ব্যর্থ, আরাফাত সানিকে ইনসাইড আউট করে কভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে পারভেজ ইমনের হাতে ক্যাচ দেন এই ডানহাতি ব্যাটার। পেছনে লাফিয়ে দারুণ সেই ক্যাচ ধরেন ইমন।
১৫ বলে ৩২ রানের ইনিংসে পাল্টা জবাবের চেষ্টা করেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। স্পিনারদের স্লগ সুইপ, পেসারদের স্কয়ার কাটে দারুণ সব বাউন্ডারিও আদায় করেছেন। কিন্তু স্বদেশি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের প্রথম স্পেলের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হারিস।
৫২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে থাকা রাজশাহীর হাল ধরেছিলেন ইয়াসির আলী রাব্বি ও আকবর আলী। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩১ রানের জুটি। আকবরকে ফিরিয়ে সেই জুটি আর বড় হতে দেননি সানি। আলিস আক্রমণে ফিরেই নেন ইয়াসিরের উইকেট। এরপর নিয়েছেন দুই টেইলএন্ডার তাসকিন আহমেদ ও শফিউল ইসলামের উইকেটও। আজ ব্যর্থ রায়ান বার্ল, ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন শরীফুলের বলে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পারভেজ ইমনের উইকেট হারায় চিটাগং। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রাজশাহীর বোলারদের ওপর একাই ঝড় বইয়ে দেন উসমান খান। ৪৯ বলে ছুঁয়েছেন এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। নিজের দ্বিতীয় বিপিএল সেঞ্চুরির পথে মেরেছেন ১১টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। দ্বিতীয় উইকেট ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কের সাথে গড়েছেন ১২০ রানের বিশাল জুটি। এই জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে চিটাগং।
সোহাগ গাজীর বলে আউট হওয়ার আগে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ২৫ বলে ৪০ রান করেন ক্লার্ক। তবে ক্লার্কের বিদায়ের পরেও থামেনি চিটাগংয়ের ব্যাটিং ঝড়। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনও শুরু থেকেই খেলেন হাত খুলে। উসমানের সাথে মাত্র ৩১ বলে গড়েন ৬৩ রানের দ্রুতগতির এক জুটি।
সেঞ্চুরির পর খানিকটা ধীরগতিতেই ব্যাট করেন উসমান। আগের ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়া তাসকিনের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ১২৩ রানের ইনিংস। ৬২ বলে ১৩ চার ও ছয় ছক্কা মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষদিকে ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে ২১৯-এ থামে চিটাগংয়ের ইনিংস।
সারাবাংলা/জেটি