শামীম ঝড়ের পরও চিটাগংয়ের বড় হার
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৭
লক্ষ্য ছিল ২০৩ রান, একটা ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে এতো বড় রান তাড়া করা কঠিন। শামীম হোসেন পাটোয়ারী দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেললেও চিটাগংকে তাই জেতাতে পারেননি। দলের অন্যদের ব্যর্থতার দিনে ৭৮ রানের ঝলমলে একটা ইনিংস খেলেছেন শামীম। তবু খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৩৭ রানে হেরেছে চিটাগং।
২০৩ রানের জবাব দিতে নেমে চিটাগং শেষ পর্যন্ত থেমেছে ১৬৬ রানে। শামীম মাত্র ৩৮ বল খেলে করেছেন ৭৮ রান।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০৩ রানের জবাব দিতে নেমে চিটাগং পিছিয়ে পরেছে শুরুতেই। প্রথম ওভারে ওপেনার নাইম হাসানকে হারায় চিটাগং। সেই থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বন্দর নগরির দলটি।
পারভেজ হোসেন ইমন (১৩), মোহাম্মদ মিঠুন (৬), উসমানে খান (১৮), হায়দার আলীরা (০) কেউই সুবিধা করতে পারেননি। শামীম পাটোয়ারী ক্রিজে নেমেছিলেন ছয়ে। ইনিংসের শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন জাতীয় দলের স্পিনিং অলরাউন্ডার।
স্পিনার আলিস আল ইসলাম ১৮ বলে ৬ রান করে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন। অপরপ্রান্তে শামীম রীতিমতো ঝড় তোলেন। মাত্র ২২ বলে ফিফটি পূর্ণ করা শামীম আউট হয়েছেন ১৯তম ওভারে। ফেরার আগে ৩৮ বলে ৭টি চার ৫টি ছক্কায় ৭৮ রান করেন তরুণ অলরাউন্ডার। তবে দলের অন্যদের ব্যর্থতায় হারা দলের সদস্য হয়েই থাকতে হয়েছে।
১৮.৫ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে গেছে চিটাগং। খুলনার হয়ে ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবু হায়দার রনি।
এর আগে খুলনা দুইশোর্ধ্ব স্কোর গড়েছে উইলিয়াম বোসিস্টো আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ব্যাটে। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো পেয়েছে খুলনা। ফর্মে থাকা নাঈম শেখ শুরুতে দাপটে রান তুলেছেন। নাঈম ১৭ বলে ২৬ রান করে ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা।
এরপর অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ (১৮ বলে ১৮), ইব্রাহিম জাদরান (৭ বলে ৬) ও আফিফ হোসেন ধ্রুব (৭ বলে ৮) সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি উইলিয়ামকে। তবে ছয়ে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন রীতিমতো কচুকাটা করেছেন চিটাগংয়ের বোলারদের। দেখাদেখি উইলিয়ামও মেরে খেলতে চেয়েছেন।
পঞ্চম উইকেটে ৩৫ বলে ৮৬ রান তুলেছেন দুজন। উইলিয়াম বোসিস্টো ৮টি চার ৩টি ছয়ে ৫০ বলে ৭৫ রান করেছেন। অঙ্কন ২২ বলে ৫৯ রান করার পথে চার হাঁকিয়েছেন ১টি, আর ছক্কা ৬টি! ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তুলেছে খুলনা।
সারাবাংলা/এসএইচএস