Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পেলে-ম্যারাডোনার পাশেই মেসির ভাস্কর্য

স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৮ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫৩

কাতার বিশ্বকাপে নিজেকে সর্বজয়ীদের পাশে নিয়ে তো গেছেনই, সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারেও এনেছেন পূর্ণতা। ফিফা বিশ্বকাপের আগে লিওনেল মেসির নামের পাশে অপূর্ণ ছিল কেবল বিশ্বকাপের শিরোপাটাই। আর আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছরের বিশ্বকাপ খরা ঘুচিয়েছে পেয়েছেন পূর্ণতাও। এরপর থেকে রাজকীয় অভ্যর্থনায় ভাসছেন তিনি। কদিন আগে তার নামে জাতীয় দলের অনুশীলন সেন্টারের নামকরণ করা হয়েছে। এবার আরও বড় সম্মাননা উপহার দিলো দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল। ৩৫ বয়সী মেসির ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে কনমেবল মিউজিয়ামে। লিওনেল মেসির এই ভাস্কর্য স্থান পেয়েছেন কিংবদন্তি পেলে এবং ম্যারাডোনার পাশেই।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ মার্চ) কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানের আগেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে সম্মাননা জানায় কনমেবল। আর সেখানেই লিওনেল মেসির ভাস্কর্য উন্মোচিত হয়। মেসির ভাস্কর্যের পাশাপাশি তাকে বিশ্বকাপ ও ফিনালিসিমা ট্রফির একটি রেপ্লিকাও উপহার দেওয়া হয়েছে।

উন্মোচিত ভাস্কর্যের পাশে দাঁড়িয়ে ছুঁয়েও দেখেছেন মেসি। পাশাপাশি দুই লিওনেল মেসি। মুখে হাসি, হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি। মেসির তো আর জমজ নেই! সত্যিকারের মেসির পাশে ওখানে আসলে মেসির প্রতিমূর্তি। কনমেবলের সদর দপ্তরে এভাবেই দেখা গেল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকরকে।

ভাস্কর্য উন্মোচনের আয়োজনে থেকে আপ্লুত মেসি ফিরে তাকালেন তার গোটা ক্যারিয়ারে। ৩৫ বছর বয়সী মহাতারকা বললেন, জীবন তাকে ভরিয়ে দিয়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রাপ্তিতে। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই এমন কিছুর স্বপ্ন দেখিনি বা ভাবতে পারিনি। আমার স্বপ্ন ছিল পছন্দের কাজটি (ফুটবল খেলা) স্রেফ উপভোগ করা এবং যখন ছোট ছিলাম, চাওয়া ছিল পেশাদার ফুটবলার হওয়া, জীবনে যেটিকে ভালোবেসেছি, সেটিকেই পেশা হিসেবে নেওয়া।’

মেসি আরও বলেন, ‘অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।’

কনমেবলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেসি বলেন, ‘দুটি ট্রফির জন্য আলেহান্দ্রো ডমিনগেজকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যার কথা আমরা বলে আসছিলাম। বিশেষ করে এই বিশ্বকাপ ট্রফির কথা। এখন আমার ঘরের জাদুঘরে এটি সংরক্ষণ করে রাখবো। আমাদের সম্মাননা জানানোর জন্য কনমেবলকে ধন্যবাদ।’

বিজ্ঞাপন

বিশ্বকাপ জয়ের পর গেল বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। পানামার বিপক্ষে খেলতে নেমে একটি গোল করে মেসি ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের ৮০০তম গোল। আর আর্জেন্টিনার প্রথম ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১০০ গোলের রেকর্ড ছুঁতে মাত্র একটি গোল দূরে লিওনেল জাদুকর মেসি।

সারাবাংলা/এসএস

কনমেবল ডিয়েগো ম্যারাডোনা পেলে লিওনেল মেসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর