ফাইনালের মিশনে সিলেটের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:২৩ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪৩
আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে দ্রুত রান তুলতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুই তরুণ ওপেনার তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনে নেমে পাল্লা আক্রমণের পথ বেছে নিয়ে সফল হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শেষ দিকে ঝড় তুলেছেন থিসারা পেরেরা ও জর্জ লিন্ডে। সব মিলিয়ে নবম বিপিএলের দ্বিতীয় কায়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সের শুরুটা প্রত্যাশিত হয়নি। সিলেটের তারুণ্যনির্ভর টপ অর্ডার বিপিএলের লিগ পর্বের ম্যাচগুলোতে শুরুতে নিয়মিত ঝড় তুলেছে। কিন্তু প্রথম কোয়ারিফায়ারের মতো আজ দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারল না তৌহিদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্তরা।
দুজন ওপেনিং জুটিতে ৬৫ রান অবশ্য তুলেছেন। কিন্তু বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে পারেননি। প্রথম ৭ ওভারে দুজন মিলে রান তুলতে পেরেছেন ৪৮, অর্থাৎ ওভারপ্রতি তখন সাতেরও কম করে রান তুলেছেন দুজন। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তৌহিদ হৃদয় ২৫ বলে ২৫ রান করে ফিরেছেন হাত খোলার আগেই। ফলে রানের গতি বাড়াতে তিনে নেমে পরেন সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফি পাল্লা আক্রমণে দ্রুত রান তুলেছেনও। ইনিংসটা বড় করতে না পারলেও তার ১৬ বলে ৩ চার ১ ছয়ে ২৮ রানের ইনিংসটি সিলেটের ইনিংসের গতি বাড়িয়েছে। মিডল অর্ডারে তরুণ জাকির হাসান ও রায়ান বার্ল ক্রিজে নেমেই ঝড় তুলতে চেয়েছেন। দুজন দুর্দান্তভাবে এগুচ্ছিলেনও। কিন্তু দুজনের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও মিডল অর্ডারে সুবিধা করতে পারেননি।
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিলেটের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে মুশফিকুর রহিম যখন ফিরলেন দলের রান তখন ১৪২। বাকি সময়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে সিলেটের স্কোরকে চ্যালেঞ্জিং একটা পর্যায়ে গেছেন দুই বিদেশি। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে খেমেছে সিলেট। জর্জ লিন্ডে ১০ বলে ১টি চার ২টি ছয়ে তখন ২১ রানে অপরাজিত। থিসারা পেরেরা ১৫ বলে ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সিলেটের পক্ষে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ৩০ বলে ৫টি চার ১টি ছয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। রায়ান বার্ল ৬ বলে ১৫ ও জাকির হাসান ১৩ বলে ১৬ রান করেন। রংপুরের হয়ে হাসান মাহমুদ ৩৪ রানে ও দাসুন শানাকা ৪৫ রানে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস