ওয়াসিম, হার্শাদের পাশে আতাহার আলী
১৭ মে ২০১৯ ১১:৪৭ | আপডেট: ১৭ মে ২০১৯ ১২:১২
ইংল্যান্ডে আগামি ৩০ মে থেকে বসছে ক্রিকেটের সব থেকে বড় আসর ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের আনন্দ আরো জমজমাট করতে ধারাবিবরণী বড় ভূমিকা রাখে। এবারের বিশ্বকাপেও তাই থাকছে বিশ্বসেরা ধারাভাষ্যকাররা। ক্রিকেটের প্রতিটি মুহূর্ত আরো বেশি রোমাঞ্চকর করে তুলতে তাদের জুড়ি নেই।
প্রতিটি ক্রিকেটারের চাল চলন কিংবা অধিনায়কের কোন সিদ্ধান্ত অথবা দর্শকদের কোন চমকপ্রদ মুহুর্তকে রোমাঞ্চকর করে বিবরণ দেওয়াতে ধারাভাষ্যকদের নেই কোন জুড়ি। তাদের জন্যই টিভি দর্শকদের জন্য ক্রিকেট দেখাটা আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে যায়।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ২০১৯ এ থাকছে ২৪ জন ধারাভাষ্যকারের একটি দল। যে দলে থাকছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তী বোলার ওয়াসিম আকরাম, কিংবা ভারতের সৌরভ গাঙ্গুলিরা ধারাবিবরণী দিবেন বিশ্বকাপ জুড়ে। আর তাদের পাশে থাকবেন এক সময় লাল সবুজদের জার্সি গায়ে আলো ছড়ানো আতাহার আলী খানও।
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের টিভি স্বত্ব নিজেদের দখলে নিয়েছে ভারতীয় স্টার স্পোর্টস। বিশ্বকাপের ধারাবিবরণীর জন্য নিযুক্ত করেছে ২৪ জন ধারাভাষ্যকার।
২৪ সদস্যের এই ধারাভাষ্যকার প্যানেলে বাংলাদেশের আতাহার আলী খান ছাড়াও আরো যারা রয়েছেন তারা হলেন – নাসের হুসেইন, ইয়ান বিশপ, রমিজ রাজা, সাইমন ডুল, পমি এম্বাংগওয়া, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, ওয়াসিম আকরাম, গ্রায়েম স্মিথ, মেলানি জোন্স, মাইকেল স্লেটার, হার্শা ভোগলে, কুমার সাঙ্গাকারা, এলিসন মিচেল, মার্ক নিকোলাস, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, শন পলক, ইশা গুহা, ইয়ান ওয়ার্ড , মাইকেল হোল্ডিং, মাইকেল এথারটন, সৌরভ গাঙ্গুলি, ইয়ান স্মিথ ও মাইকেল ক্লার্ক।
পুরুষদের পাশাপাশি এবারের বিশ্বকাপে ধারাবিবরণী করবেন তিনজন নারী ধারাভাষ্যকারও। ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ইশা গুহ, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার মেল জোনস ও ইংলিশ ধারাভাষ্যকার অ্যালিসন মিচেল। এই তিনজন থাকবেন ২১ জন পুরুষ ধারাভাষ্যকারদের সাথে ক্রিকেট বিশ্বকাপে।
এছাড়া এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো থাকছে ৩৬০ ডিগ্রী রিপ্লের প্রযুক্তিও। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের জন্য থাকছে এধরনের সকল সুবিধা। যেন দর্শকরা খেলার প্রতিটা মুহূর্ত ঘরে বসেও উপভোগ করতে পারেন।
সব থেকে ব্যয়বহুল ক্রিকেট বিশ্বকাপ তো বটেই এবারের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত সব থেকে বেশি প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বকাপও। সব ধরনের সমালোচনা এড়াতে তাই সর্বোচ্চ প্রযুক্তির ব্যবহার আইসিসির।
সারাবাংলা/এসএস