২৫ সেকেন্ডেই বাংলাদেশের গোল!
২৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৮:৪৪ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৩
ঢাকাঃ গ্যালারিতে তখনও ঠিক মতো ঠাঁই নিয়ে বসতে পারেনি বাংলাদেশের সমর্থকরা। রেফারির বাঁশি সেন্টার থেকে বল পেয়ে ভোঁ দৌড়। ১৮ সেকেন্ডে থ্রো থেকে বল কৃষ্ণার পায়ে। একজনকে বোকা বানিয়ে কিরগিজস্তানের গোল বরাবর শট। গোলরক্ষকের হাত ফসকে বল সিক্স ইয়ার্ডের ভেতরে ফাঁকা জায়গায়। ঠাণ্ডা মাথায় আলতো টোকা ওত পেতে থাকা সানজিদার। মুহূর্তের মধ্যে বল জালে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নেমেই কিরগিজদের সঙ্গে এক মিনিট পেরুতে না পেরুতেই এক গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই অল আউট ফুটবল খেলা গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা প্রথমার্ধে ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে শুরু করে।
প্রথমার্ধে অন্তত আরও হাফ ডজন খানেক আক্রমণ করে গোলের খোঁজ পায়নি ফিনিশিংয়ের অভাবে। কৃষ্ণা-সানজিদা মিলেই যেন গোল মিসের মহড়া করেছে। তবে এতে আক্রমণ থেমে থাকেনি লাল-সবুজরা।
কিরগিজদের সঙ্গে এর আগেও ২০১৬ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার কিরগিজদের জালে ১০ গোলের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল কৃষ্ণা-শামসুন্নাহাররা। ওই দলের সবাই এখন লাল-সবুজে আছে। কিরগিজদের সেই দলের কয়েকজন সদস্য এবারের এই দলে আছেন।
এদিকে গ্রুপ ‘এ’র নিজেদের প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে হারিয়েছে লাওস। প্রথমার্ধেই মঙ্গোলিয়ার জালে তিনবার বল জড়িয়েছে লাওস। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি। ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে সেমির পথে এক ধাপ দিয়ে রেখেছে লাওস। সেমি ফাইনালে পথে আছে মঙ্গোলিয়াও। এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে মিশন শুরু করেছিল মঙ্গোলিয়া। শেষ ম্যাচে তাজিকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। হারাতো যাবেই না। খালি চোখে যেটা অসম্ভবই মনে হচ্ছে। যদি সেটা না হয় তাহলে মঙ্গোলিয়া ও লাওসই যাচ্ছে শেষ চারে।
সারাবাংলা/জেএইচ