শততম টেস্ট খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের চোখ আজ মুশফিকের ওপর। অভিজ্ঞ মুশি নজরটা অন্যদিকে সড়াতেও দিচ্ছেন না! দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন বাংলাদেশের তারকা। মাইলফলক স্পর্শ করা মুশফিক এবং মুমিনুল হকে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি বাংলাদেশের।
দিনের প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংরাদেশ। সেখানে দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট পতন হতে দেয়নি মুশফিক-মুমিনুল জুটি। দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১৯২। ৬২ রানে ব্যাট করছেন মুমিনুল। তার সঙ্গে ৪৮ রানে অপরাজিত মুশফিক। মুশফিকের এই ইনিংসটা সেঞ্চুরির দিকে যাক নিশ্চয় সেটাই প্রত্যাশা করবে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়েছিল।
আগের টেস্টে ওপেনিং জুটিতে রেকর্ড গড়া সাদমান ইসলাম অনিক ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ওপেনিং জুটি ছিল ৫২ রানের। মিরপুরের উইকেটে ঘাস দেখা গেছে তবুও একাদশে কোনো জেনুইন পেসার রাখেনি আইরিশরা। ফলে নতুন বলের সুবিধাটা কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা।
১৪ ওভারে গিয়ে হঠাৎ যেন মনঃসংযোগ বিচ্ছিন্ন হলো সাদমান ইসলামের! ম্যাকব্রেইনের এলবিডব্লুর ফাঁদে পরেন। ৪৪ বলে ৬ চারে ৩৫ রানে ফেরেন সাদমান। আগের টেস্টে দুর্দান্ত একটা সেঞ্চুরি করা মাহমুদুল হাসান জয় খানিক বাদে অহেতুক শট খেলে ফিরেছেন ৩৪ রান করে। ৮৬ বল খেলে ২ চারে ৩৪ রান করে ফেরেন জয়।
আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত ছক্কা হাঁকিয়ে রানের খাতা খোলার পরপরই ফিরেছেন। ১১ বলে ৮ রান করে ফেরেন শান্ত। এই সেশনে বাকি সময়ে বিপদ হতে দেননি অভিজ্ঞ মুশফিক-মুমিনুল।
টেস্টের দ্বিতীয় সেশনে মুশফিক-মুমিনুল দারুণ ব্যাটিং করেছেন। বল কিছুটা পুরনো হয়ে যাওয়ার পর সুবিধা করতে পারেননি আইরিশ বোলাররা। খুব বেশি টার্ন আদায় করতে পারেননি আইরিশ স্পিনাররা। মুশফিক-মুমিনুলও করে গেছেন সজাগ ব্যাটিং।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে দুজন তোলেন ৯২ রান। ১২৫ বল খেলে ৪টি চারের সাহায্যে ৬২ রানে অপরাজিত মুমিনুল। ১০৪টি বল খেলে মুশফিক অপরাজিত ৪৮ রান করে। মুশফিকও চার মেরেছেন ৪টি।