Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ও অর্থনীতিতে প্রভাব

ড. মিহির কুমার রায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৯ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪

প্রতিবছরই বাংলাদেশে গ্রীষ্মের শেষার্ধ থেকে শরতের প্রথমার্ধে এক বা একাধিকবার বন্যা দেখা দিয়ে থাকে। বিশ্বের অন্যতম প্রধান বৃষ্টিবহুল অঞ্চল উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্ষাকালে যে বৃষ্টিপাত হয়, তা নদীপথে গড়িয়ে এসে সমতলের বাংলাদেশে বন্যা ঘটায়। বার্ষিক এই প্রাাবন বঙ্গীয় বদ্বীপের ফসলি জমির উর্বরতা যেমন রক্ষা করে, তেমনই অভ্যন্তরীণ ভূমির উচ্চতা বাড়ায় ও উপকূলীয় ভূমির সম্প্রসারণ ঘটায়। নদীর সঙ্গে জলাভূমির সম্পর্ক রক্ষা করে; মৎস্যসম্পদের আবাসন ও প্রজনন প্রক্রিয়াও সুরক্ষিত রাখে। কিন্তু এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় মনুষ্যসৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা কীভাবে জীবন ও সম্পদ বিনাশী হয়ে উঠতে পারে তা প্রায় প্রতিবছরই কমবেশি সে চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন নদী অববাহিকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের যে ১১২টি পানিস্তর পরিমাপক স্টেশন রয়েছে; পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটের বন্যা মানচিত্রে চার রঙের সূচক থাকে যেমন সূচকের রং ‘সবুজ’ মানে নদীপ্রবাহ স্বাভাবিক; বন্যার ঝুঁকি নেই, নদীর প্রবাহ যদি বাড়তে শুরু করে এবং বিপদ সীমার নিচেই থাকে, তাহলে সূচকের রং হবে ‘হলুদ’, বিপদ সীমায় পৌঁছলে বা বন্যা দেখা দিলে সূচকগুলো ‘কমলা’ রং ধারণ করবে এবং প্রবল বন্যা দেখা দিলে ‘লাল’ হয়ে যাবে। মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকা এবং উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় পানিস্তর পরিমাপক স্টেশনগুলোর সূচক ছিল লাল ও কমলা। মধ্যাঞ্চলের সূচকগুলো ছিল হলুদ। এখন যখন সব সূচকই সবুজ, তখন কি আমরা আশ্বস্থ হবো?

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে সম্প্রতি বন্যায় দেশের ১২ জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সব জেলায় এখনও পানিবন্দি রয়েছেন ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।সূত্রে জানা যায়, বন্যায় দেশের মোট ১২ টি জেলার ৬৮ টি উপজেলার ৫০৪টি ইউনিয়ন/পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাগুলো হলো: ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, সিলেট, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। বন্যায় ৫৯ জন মারা গেছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৪১ জন, মহিলা ৬ জন, শিশু- ১২ জন। মৃতদের মধ্যে কুমিল্লা ১৪ জন, ফেনী ২৩ জন, চট্টগ্রাম ৬ জন, খাগড়াছড়ি ১ জন, নোয়াখালী ৯ জন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ১, লক্ষীপুর ১ ও কক্সবাজার ৩ জন, মৌলভী বাজার ১ জন। আর ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে জন্য মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৫১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের এ পর্যন্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে, ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে নগদ, ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য এবং ৩৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি-বেসরকারিসহ সব পর্যায় থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

বিজ্ঞাপন

কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এবং গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতির ফলে অনেক পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস নষ্ট হয়ে গেছে, যা খাদ্যনিরাপত্তার ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া, যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছেন। সেনাবাহিনী ত্রাণ প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে এবং খাদ্য ও অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করছে। তবে, পরিস্থিতির তীব্রতার কারণে এই প্রচেষ্টা এখনো অপর্যাপ্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মাধ্যমে ত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই ত্রাণ সংগ্রহ অভিযানটি বন্যার্তদের জন্য খাদ্য, পানি এবং অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে সহায়ক হচ্ছে।এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহের জন্য বুথ স্থাপন করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সহায়তা আহ্বান করছেন। তারা বিভিন্ন দাতা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির মাধ্যমে প্রাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বন্যার্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য পরিকল্পনা করছেন।

দেশে বন্যার প্রকৃতি ও ক্ষয়ক্ষতি মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত, উজান থেকে কী পরিমাণে পানি আসছে। দ্বিতীয়ত, কত দ্রুত বা ধীরগতিতে পানি আসছে আর কতদিন ধরে সেই পানি বাংলাদেশে থাকছে। তৃতীয়ত, দেশের নদী-নালা-খাল-বিলে পানির ধারণক্ষমতা। উজানের ভারতীয় অঞ্চলে এবং দেশের ভেতরের প্রাকৃতিক স্বাভাবিকতা বিনষ্ট হওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ তিন ক্ষেত্রেই জটিলতা বেড়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি বেশি হচ্ছে। বিশেষত উজান থেকে আসা পলির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে নদীর তলদেশের গভীরতা কমে নদীর পাড়ভাঙন বাড়ছে। আবার শুকনো মৌসুমে নদীগুলোর পানি পরিবহনক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে এ পলি নদীর তলদেশে জমা হয়ে নদী ভরাট করে ফেলছে। আবার দেশের ভেতরের নদ-নদীর নাব্যতা কমে যাওয়া, চ্যানেলগুলো বন্ধ হওয়ার কারণেও দিন দিন বন্যা বাড়ছে। এসব সংকটের সমাধান করতে না পারলে বন্যার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে না। বন্যা মোকাবেলায় সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘন বন্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করছে। এটি একটি আপৎকালীন অবস্থা, যা প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট উভয় কারণেই আরো খারাপ হয়েছে। পুকুর, খাল ও হাওর যেগুলো একসময় এ অঞ্চলজুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং বন্যার সময় অতিরিক্ত পানির জলাধার হিসেবে কাজ করত, গত কয়েক দশকে সেগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অবিবেচনাপ্রসূত উন্নয়ন, নগরায়ণ এবং ত্রুটিপূর্ণ সরকারি নীতির কারণে এমনটা হয়েছে। ওই এলাকায় অনেক নদ-নদীও দখল করা হয়েছে। এতে গ্রীষ্মকালে এগুলো শুকিয়ে যায় এবং স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই উপচে পড়ে। দেশের প্রধান নদীগুলোকে দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। বছর বছর নদী খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও সে অনুপাতে কাজ হয় না। দেশের নিম্ন এলাকার মানুষকে বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে হলে লোক দেখানো নদী খননের কাজ বন্ধ করতে হবে। টেকসই ও পরিকল্পিত উপায়ে নদী খননে পদক্ষেপ নিতে হবে। বন্যার্তদের সহায়তায় বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিজেদের কাজের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। এই সংকটের সময়ে সহায়তার জন্য তাদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অর্থ, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, এবং চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মীরা নিজেরা কিছু পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে তা বন্যার্তদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। অনেক ব্যক্তি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ করছেন, যাদের সহায়তার ফলে অনেক বন্যার্তের খাবারের অভাব মেটানো সম্ভব হচ্ছে। এ ছাড়া, অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ত্রাণ কার্যক্রমে অংশ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে। তারা বন্যার্তদের জন্য খাদ্য বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন প্রকার সহায়তা করছেন। কিছু সংস্থা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল টিম পাঠাচ্ছে এবং পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করছে।

সাম্প্রতিককালের বন্যাগুলোর ভয়াবহতা বৃদ্ধির বেশ কিছু মানবসৃষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্যতম হলো পাহাড়ের প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করায় ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নদীতে বাঁধ দিয়ে নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করা এবং অতিবৃষ্টির সময় হঠাৎ বাঁধের সব পানি ছেড়ে দিয়ে বাঁধের ভাটির জনপদে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি করা হচ্ছে যেমন পদ্মা নদীর উজানে ভারতের ফারাক্কা বাঁধ ও তিস্তার নদীর উজানে ভারতের গজলডোবা বাঁধ থেকে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে হঠাৎ বাঁধের সব দরজা খুলে দিয়ে পদ্মা ও তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ মন্ত্রনালয় যেমন পররাষ্ট্র, পানি সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বিত ভাবে কাজ করতে পারে যা সময়ের দাবি বলে প্রতীয়মান হয়। মনে রাখতে হবে, দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর প্রথম সারিতে রয়েছে বাংলাদেশ যার অবস্থান এখন সপ্তম। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম যা ‘বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচক ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে যা জার্মানি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা জার্মানওয়াচ থেকে এটি প্রকাশিত হয়েছে। তাই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তথ্যের আদান-প্রদান বাড়াতে হবে, আঞ্চলিক সমন্বয় বাড়াতে হবে। আগামীতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্মেলনে বন্যার কথা জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে এবং দায়ীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে: দীর্ঘমেয়াদী ভাবে বন্যা প্রতিরোধে আন্ত:নদী পানি প্রবাহ সংযোগ সহ যে সকল আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে তার সফল প্রয়োগ সময়ের দাবি বিশেষত: ভারত ও চীনের সাথে। এখন পর্যন্ত গঙ্গা চুক্তির সুফল আমরা তেমন কিছুই পাই নাই এবং যা হয়েছে তা হলো শুষ্ক মৌসুমে আমরা মৃত পদ্মা পেয়েছি যা রাজশাহী অঞ্চলের মরুকরনকে ত্বরান্বিত করছে। এখন বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে কুটনীতিতে বিশেষতঃ ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সর্বশেষ বিষয় গুলোতে যে সফলতা দেখিয়েছে তা আরো জোরধার করতে হবে। সর্বশেষে বলা যায় এখন আমাদের গ্রামীন অর্থনীতির যে অঞ্চল গুলো ফি-বছর বন্যায় আক্রান্ত হচ্ছে তা নিয়ে সরকারের নির্ভীর ভবনা জোরধার করতে হবে এবং এখন আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বৃহৎ নদনদী গুলোর দ্বারা বন্যা কবলিত দুই তীরের জনপদের জীবন জীবিকার সার্থে সরকার যদি এগিয়ে আসে তবে আঞ্চলিক বৈষম্য কমেেব, ভৌগলিক ভাবে মানুষ তার ভিটেবাড়ী কম হাড়াবে এবং দারিদ্র নিরশন কর্মসূচী আরও সফল হবে। সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে বন্যা খরার বিষয় এবং এর ফলস্রোতিতে গ্রামীন জীবনের যে পরিণতি সে গুলো অগ্রাধিকার কাজের মধ্যে রাথছেন এবং এ গুলোর বাস্তবায়নে সমন্বিত কর্মসূচীর কোন বিকল্প নেই।

লেখক: গবেষক

ড. মিহির কুমার রায় বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ও অথনীতিতে প্রভাব মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৯

আরো

সম্পর্কিত খবর