ফেনী মুক্ত দিবস ও প্রাসঙ্গিক কথা
৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:১৩
৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত দিবস। মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাংলাদেশ সার্বিকভাবে পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় ১৬ ডিসেম্বর, কিন্তু ফেনী পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। এজন্য ৬ ডিসেম্বর ‘ফেনী মুক্ত দিবস’ পালিত হয়ে থাকে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে প্রথম ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিল। অর্থাৎ, ৬ ডিসেম্বর ফেনীতে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ফেনী ২নং সেক্টরের অধিনে ছিল। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ফেনী মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ জোন ছিল। ২৫শে মার্চ থেকে দেশব্যাপী যুদ্ধের ভয়াবহতা শুরু হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং নৃশংসতা চালায়। এরই অংশ হিসেবে এপ্রিলের প্রথমভাগেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ফেনীতে হানা দেয়। ভৌগলিক অবস্থানের জন্য ফেনীতে পাকহানাদার বাহিনীর প্রবেশ দ্রুত ও সহজতর হয়। এদিকে পাকহানাদার বাহিনী প্রবেশের খবর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় যুদ্ধের ডামাডোল।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে তিন দিক থেকে রয়েছে ফেনীর সীমান্ত। ফলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ফেনীতে ব্যাপক অত্যাচার নিপীড়ন চালায়। কিন্তু যুদ্ধের শুরু থেকেই ফেনী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধারা সুসংগঠিত ছিল। সেটা বিদেশি এক সাংবাদিকের পর্যবেক্ষণেই ওঠে এসেছে।
একাত্তরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের পিণ্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে, বাংলাদেশের কোনো অঞ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে নেই। সেই মুহূর্তে এক বিদেশি সাংবাদিক ইয়াহিয়া খানকে প্রশ্ন করেন এই বলে যে, আমি মাত্র কয়েকদিন আগে ফেনীর বিলোনীয়া মুক্ত অঞ্চল ঘুরে এসেছি। সেখানে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া এই তিনটি উপজেলা সম্পূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে মুক্ত অঞ্চল দেখেছি। পাকিস্তানের কোনো খবরদারি ও আধিপত্য এই অঞ্চলে নেই। সেই বিদেশি সাংবাদিক আরও বলেন, আমি আরও শুনে এসেছি। এই তিনটি মুক্ত উপজেলা যার তিন দিকে ভারত সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত প্রায় ৮ থেকে ১৩ মাইল চওড়া ও প্রায় ১৯ মাইল দীর্ঘ এই জনপদ যদি এইভাবে মুক্ত অঞ্চল হিসেবে থাকে তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাজধানী/হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হবে।
ফেনী সীমান্তে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়। এর মধ্যে শুভপুর ও বিলোনিয়া যুদ্ধ অন্যতম। তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা ফেনী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম আব্দুল মালেক (যুদ্ধকালীন সময়ে বিএলএফ এর প্রেসিডেন্ট) ও মরহুম খাজা আহমদের নেতৃত্বে ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা দেরাদুন ও চোত্তাখোলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। প্রথমদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০০ জনের একটি বাহিনী নিয়ে ফেনী পিটিআই স্কুল মাঠে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। বিএলএফের ফেনী মহুকুমা কমান্ডার হিসেবে ভিপি জয়নাল আবেদীন ফেনীর পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।
ফেনী অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীরবিক্রম ভারতের বিলোনীয়া ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল থেকে ১০ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের হয়ে অভিযান চালান। মুক্তিবাহিনী বিলোনিয়া, পরশুরাম, মুন্সিরহাট, ফুলগাজী হয়ে যুদ্ধ করে এগুতে থাকলে পর্যদুস্ত হয়ে পাক হানাদার বাহিনীর একটি অংশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী হয়ে কুমিল্লা সেনানিবাসের রাস্তায় এবং অপর অংশ শুভপুর ব্রিজের উপর দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। জাফর ইমামের নেতৃত্বে পরিচালিত এই বিলোনিয়া যুদ্ধ একটি অনন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে।
অপরদিকে মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) ফেনী মহকুমা কমান্ডার ভিপি জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দাগনভূইয়া, রাজাপুর, সিন্দুরপুর হয়ে শহরের দিকে এগুতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পাকহানাদাররা ৫ ডিসেম্বর রাতে কুমিল্লার দিকে পালিয়ে গেলে ৬ ডিসেম্বর ফেনী হানাদারমুক্ত ঘোষণা করা হয়। ফেনীবাসী লাল-সবুজের বিজয় নিশান নিয়ে ফেনী শহর ও গ্রামগঞ্জে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে।
রণাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে পাক হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে ফেনীর সব সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিয়ে ৫ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এ সংবাদ শুনেই জয় বাংলা শ্লোগান ও করতালির মধ্য দিয়ে ফেনীর রাজাঝির দিঘীর পাড়ে সার্কিট হাউজে ও ট্রাংক রোডের প্রেসক্লাব ভবনের সামনে মুক্তিযোদ্ধারা ও হাজার-হাজার মুক্তিকামী মানুষ একত্রিত হতে থাকে। সেদিন সকালেই ফুলগাজীর বন্দুয়া থেকে এসে ফেনী সার্কিট হাউজে (বর্তমান ফেনী সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউজ) প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন ২নং সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী লে. কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ফেনীর ৩১ জন মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৪ জনকে বীর উত্তম, ৭ জনকে বীর বিক্রম এবং ২০ জন বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। এর মধ্যে ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদানের জন্য একই সঙ্গে বীর উত্তম ও বীর বিক্রম খেতাব লাভ করেন।
ফেনী মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদানও কম নয়। ফেনীতে গ্যাজেটভুক্ত নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ৩ জন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিমা বেগম, শাহাদাত আরা বেগম ও কাওসার বেগম। এ তিনজনের মধ্যে রহিমা বেগম বীরাঙ্গনা।
মুক্তিযুদ্ধে ফেনীর অনেকগুলো রণাঙ্গনের মধ্যে মুন্সীরহাটের মুক্তারবাড়ী, বন্ধুয়া ও বিলোনিয়া প্রতিরোধের যুদ্ধ ইতিহাসখ্যাত হয়ে আছে। এ রণাঙ্গনে সম্মুখসমরের যুদ্ধ কৌশল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানী মিলিটারী একাডেমিগুলোতে পাঠসূচীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা এ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের অহংকার আর গর্বের বিষয়।
মুক্তিযুদ্ধে ফেনীর বিলোনিয়া যুদ্ধক্ষেত্র অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মুক্তিযোদ্ধাদের বিলোনিয়া যুদ্ধকৌশল বিশ্বব্যাপী যুদ্ধমডেল কৌশল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পরপরই এখানে প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছে, যেটা ২১ জুন পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে গেছে মুক্তিকামী বাহিনী। পরে দ্বিতীয় দফায় নভেম্বরের যুদ্ধে এই অঞ্চল মুক্ত করা হয়। ১০ নভেম্বর বিলোনিয়া পাক হানাদার মুক্ত হয়। বিলোনিয়া যুদ্ধকৌশল বিভিন্ন দেশের সামরিক কলেজে ‘ব্যাটল অব বিলোনিয়া’ নামে পাঠ্য। বিলোনিয়া যুদ্ধ নিয়ে এ. এ. কে জেনারেল নিয়াজী তার বই ‘THE BETRAYAL OF EAST PAKISTAN’ (Page 209)-এ স্বীকার করেছেন এই বলে যে, ‘A Brigade action which launched at Belonia was repulsed.’
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা ফেনী সরকারি কলেজ, তৎকালীন সিও অফিসসহ কয়েকটি স্থানে স্বাধীনতাকামী নিরীহ বাঙালিদের নির্মমভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছিল। তাদের লাশ ফেলা হয় পুকুর, খাল, নদী, ডোবা-নালায় ও গভীর জঙ্গলে। ফেনী সরকারি কলেজ বধ্যভূমি, ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বধ্যভূমি, দাগনভূঁঞার রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন চৌধুরী বাড়ির পার্শ্বে অরক্ষিত বধ্যভূমি, ফেনী রেলওয়ে স্টেশন বধ্যভূমি, দাউদপুর ব্রীজ বধ্যভূমি, কালিদহ-পাহালিয়া ব্রিজ বধ্যভূমি, দাগনভূঞা সেতু বধ্যভূমি, কুটিরহাট সেতু বধ্যভূমি, ফুলগাজীর জামমুড়া গ্রামের বধ্যভূমি, পরশুরামের মালিপাথর বধ্যভূমি ও একই উপজেলার সলিয়া বধ্যভূমি চিহ্নিত হলেও স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও বেশিরভাগ গণকবর চিহ্নিত করা হয়নি।
ফেনী সরকারি কলেজ মাঠ ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের টর্চার সেল। বিভিন্ন স্থান থেকে স্বাধীনতাকামী মানুষকে ধরে এখানে এনে চালানো হতো অমানবিক নির্যাতন।নির্যাতনের পর তাদের হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হতো। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ফেনী পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হলে হাজারো মানুষ ছুটে আসে কলেজ মাঠে তাদের আত্মীয়স্বজনের সন্ধানে। ফেনী সরকারি কলেজ মাঠ খুঁড়লে বেরিয়ে আসে অসংখ্য মানুষের হাড়গোড় ও মাথার খুলি। শত শত মানুষকে এখানে হত্যা করা হয়। বর্তমানে সে জায়গায় কলেজের ভেতর একটি বধ্যভূমি রয়েছে।
ফেনীর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে ফেনী সরকারি কলেজ আঙ্গিনায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও জেল রোডের পাশে বীর শহীদদের নামের তালিকাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ এবং বিলোনীয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আরও অনেক কাজ করা বাকি।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশকে শত্রুমুক্ত করার জন্য ফেনীর সূর্যসন্তান যারা জীবনের মায়া ভুলে গিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন উপজেলায়, অঞ্চলভেদে তাদের নামে অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, কালভার্ট, সেতু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিকপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা চাই।
গবেষণায় ওঠে এসেছে, ফেনীর খেতাবপ্রাপ্ত অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর এখন পর্যন্ত ঠিকভাবে রক্ষিত হয়নি। অনেকের কবরের চিহ্নটুকুও পর্যন্ত নেই। যাদের অস্তিত্বের শেষ চিহ্নটুকু ছিল, সেটাও অযত্ন অবহেলায় এখন বিলীন হয়ে গেছে। অথচ জাতির এ বীরসেনাদের সমাধি রক্ষার্থে “বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধি সংরক্ষণ” প্রকল্প রয়েছে এবং এর জন্য বরাদ্দও রয়েছে কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন কি হয়েছে? খেতাবপ্রাপ্ত অনেক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা পর্যন্তও নেই, অনেকের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনটা হওয়া তো কাম্য ছিল না। এমন ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাকর ব্যাপার।
‘ফেনী মুক্ত দিবস’-এ একটা বিষয় ভাবনায় উদয় হয় তা হলো- ফেনীসহ দেশের অন্য জেলাসমূহে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সঠিক মূল্যায়িত হচ্ছেন কিনা! গণমাধ্যমে আমরা প্রায়ই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খবর পাই, এসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা সরকার প্রদত্ত ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ঠিকই পায় কিন্তু মাঝখান দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা এসব কিছু থেকে বঞ্চিত হন। দেখা যায়, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫১ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সরকারি তালিকায় আসে নাই, মূল্যায়িত হয় নাই।
মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রম করা একটা দেশের জন্য এমন ঘটনা পরম লজ্জাকর ব্যাপার। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দায়িত্বশীল মহলকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাদের সঠিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি জেলার মহান মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের নামে অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও পাঠাগার গড়ে তুলতে হবে। সর্বোপরি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি