সাঈদীপুত্রের পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় কৃষক লীগ সভাপতি গ্রেফতার
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪৩ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:৫৩
পিরোজপুর: পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি জামায়াত নেতা প্রায়ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর পুত্র শামীম সাঈদীর নির্বাচনি পোস্টার ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. চান মিয়া মাঝিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, পিরোজপুর সদর থানায় গত ৭ এপ্রিল পিরোজপুরে জেলা কৃষক লীগ সভাপতি ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. চান মিয়া মাঝিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার পরিকল্পনা, ঘর ভাঙচুর, লুটপাট, গুলিবর্ষণ, বোমা বিস্ফোরণ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম কলিম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় চান মিয়া মাঝি ছাড়াও তার ছেলে মুরাদ হোসেন মাঝি, ভাগ্নে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার, হারুনার রশিদ বাদশা, মো. মাসুদ মাঝি, রশিদ শাহরিয়ার মাঝি, লোকমান হোসেন হাওলাদার, মহিউদ্দিন হাওলাদার ঝন্টু, সামশুদ্দিন কালু, মো. সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোট মনোনীত প্রার্থী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তার নির্বাচনের পক্ষে তৎকালীন জেলা বিএনপি সদস্য জহিরুল ইসলাম কলিম নির্বাচন করতে ঢাকা থেকে পিরোজপুর যাওয়ার পথে দুর্গাপুর নামক স্থানে কৃষক লীগের পিরোজপুর জেলা সভাপতি চান মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ২০১৮ সালে ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ২০/২৫ জন অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা গাড়ি থামিয়ে ভাঙচুর করে এবং গাড়ির মধ্যে থাকা ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ও লিফলেট ছিনিয়ে নেয়। এ সময় হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ঘটনার পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝির নেতৃত্বে ৫০/৬০জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, হকিস্টিক ও দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে জহিরুল ইসলাম কলিমের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা কলিমের বাড়ির সামনে বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে ২০/২৫ রাউন্ড গুলি ও ৮/১০টি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে ঘরে প্রধান ফটক দাও দিয়ে কুপিয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে। এ সময় তারা কলিমের বৃদ্ধ মায়ের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং কলিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের একটি ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে চান মিয়া মাঝি নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম