রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৫৬ | আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৫
ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ দুইজন মারা গেছেন। রাজধানীর উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বাসচাপায় লিপি বেগম (৪৫) এবং হাজারীবাগ বেরিবাধে কাভার্ডভ্যান ধাক্কায় রুহুল আমিন তাসিন (২৫) নামে দুই জন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উত্তর আব্দুল্লাহপুরে বাসচাপায় আহত হন লিপি বেগম। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে হাজারীবাগ বেরিবাধ শেখ রাসেল স্কুলের সামনে কাভার্ডভ্যান ধাক্কায় মোটর সাইকেল চালক রুহুল আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় আশিক ও ফারুক দুই আরোহী আহত হন।
উত্তরা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মিল্টন মিয়া জানান, নিহত লিপি বেগমের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। বর্তমানে দক্ষিনখান এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। স্বামীর নাম মো. কামাল হোসেন। উত্তরা কামারপাড়া একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। সকালে বাসা থেকে কামারপাড়ায় কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন ওই নারী। আব্দুল্লাহপুর খন্দকার ফিলিং স্টেশনের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় গোল্ডেন লাইন নামে একটি বাসের চাপায় আহত হন তিনি। পরে পথচারীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। স্বজনরা খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে ঢামেকে নিয়ে গেলে মারা যান তিনি।
এসআই আরও জানান, এই ঘটনায় ডিউটিরত সার্জেন্ট বাসটিকে জব্দ করেছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে হাজারীবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. ছামমাক হোসেন জানান, রাত আনুমানিক ১টার দিকে হাজারীবাগ বেরিবাধ শেখ রাসেল স্কুলের সামনে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিন জন। এ সময় একটি কাভার্ডভ্যান চাপায় ঘটনাস্থলে মারা যান চালক রুহুল আমিন। এই ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী আহত হন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসআই আরও বলেন, ঘটনায় জড়িত কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছে। রুহুল আমিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত রুহুলআমিনের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার ফকিরাবারি গ্রামে। বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর মাতবর বাজার কাজী বাড়ির এলাকায় থাকতেন তিনি। নিউমার্কেটের দোকানে কাজ করতেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএসআর/এসডব্লিউ