চট্টগ্রাম ব্যুরো: অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে বৈষম্য কমাতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা অনেক যোগ্য। দেশের নানা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ভূমিকা লক্ষণীয়। ভবিষ্যতে সমাজসেবা অধিদফতর সাংবাদিকদের কল্যাণেও কাজ করবে। বর্তমান সরকার বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে বৈষম্য কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। ‘
সমাজের অস্বচ্ছল মানুষের কল্যাণে বর্তমান সরকার কাজ করছে জানিয়ে মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘এ সরকার গরিবের সরকার। অস্বচ্ছল ও সমাজে নিগৃহীত মানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছে বর্তমান সরকার। আগামী অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এবার ঈদের আগে প্রায় ১ কোটি ২২ লাখ সুবিধাভোগীর মাঝে তাদের ভাতার অর্থ প্রেরণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা হলেন সমাজের দর্পন। সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। আপনাদের থেকে শোনার পর আমাদের কর্মকাণ্ডে কোনো ভুল থাকলে তা শোধরাতে পারব। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে চলতে চাইলে কম আয় করেও ভালোভাবে চলা যায়। কাজের ক্ষেত্রে সবসময় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা দরকার। চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে চট্টগ্রামের প্রতি আমার দরদ একটু বেশি।’
দ্রব্যমূলের প্রসঙ্গ টেনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ‘সম্প্রতি রমজানের সময় সরকার যেভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। ঈদের সময় ঘরমুখী মানুষ ট্রাফিক জ্যাম ছাড়াই নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পেরেছে। সদিচ্ছা ও সৎ চিন্তাভাবনা থাকলে মানুষের কল্যাণ করা সম্ভব। অতীতকে ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এ দেশ আমার আপনার সকলের। দেশপ্রেমের ব্রত নিয়ে কাজ করলে অবশ্যই দেশ এগিয়ে যাবে।’
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) নুরুল্লাহ নুরী, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলাম, উপ পরিচালক ফরিদুল আলম, প্রেস ক্লাবের সদস্য মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, হাসান মুকুল, আমিনুল ইসলাম, মজুমদার নাজিমউদ্দিন, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, কিরণ শর্মা, আবু বকর, মাহবুবুল মাওলা রিপন, আলমগীর নূর, এনাম হায়দার, মো. জাহাঙ্গীর, ফারুক মুনির, রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক সায়েম ফারুকী ও নওশীন।