Saturday 05 Apr 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করতে চায় যারা তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের শত্রু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৩ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:১৫

মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালী: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক ও বাংলাদেশের ভ্যানগার্ড মন্তব্য করে একথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু বলেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অভ্যুত্থানে নিহত ৭ জনের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৫ আগষ্ট সেনাবাহিনীর প্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের প্রশংসা করে বলেন, যদি সেনা প্রধান শেখ হাসিনাকে তার মার্তৃভূমি ভারতে না দিয়ে আসতো তাহলে হয়তো এ দেশে আরও খারাপ অবস্থা তৈরি হতো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা স্মরণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার সাথে সাথে সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। সেনাবাহিনী দেশের সকল ক্রান্তিকালে দেশের মানুষের পক্ষে ছিল। কারণ সেনাবাহিনীর জন্ম হয়েছে দেশের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের একাত্তরকে অস্বীকার করে, যারা ৪৭ এর পূর্বে ফিরে যেতে চায়, যারা ৩০ লাখ শহীদের রক্তকে অস্বীকার করতে চায় তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে। তারা এদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কোনো কথা বলে না, মুক্তিযুদ্ধকে পাশ কাটিয়ে নির্দলীয় পাবলিকের কথা বলেন তারা জনগণের স্বপক্ষে রাজনীতি করে না। যারা ৭১-কে অস্বীকার করে তাদের বাংলাদেশে ভোট চাওয়ার কোনো অধিকার নেই, ভোটে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই এবং রাজনীতি করারও কোনো অধিকার নেই। কারণ বাংলাদেশের জন্মই হয়েছে ৭১-এর মধ্য দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন। যেমনভাবে ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে খালেদা জিয়ার সরাসরি নেতৃত্বে হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের পতন হয়েছিল। একইভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমানের ঐতিহাসিক ভূমিকার কারণে হাসিনা বিদায় হয়েছে।

এ সময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের ভূরাজনীতি, অর্থনীতি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ ঘটাতে হলে দ্রুত একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে। না হলে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এ সময় তিনি ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে পর তৎকালীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সেনাবাহিনির প্রশংসাও করেন।

মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামিমা বরকত লাকী, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ, চৌমুহনী পৌর বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন হারুন, সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন সাধারণসহ আরও অনেকে।

সারাবাংলা/এনজে

বিএনপি মতবিনিময় সভা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর