ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজধানীর ফুটপাতের কেনাকাটা
১৬ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩২ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৭:১৩
ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে নানা ধরনের প্রসাধনীর পসরা সাজিয়ে বসেছে রাজধানীর ফুটপাতগুলো। তুলনামূলক অল্প দামে সুন্দর সব পন্য কিনতে, ক্রেতাসমাগমও আছে বেশ।
রাজধানীর বিভিন্ন ফুটপাত ছিল মৌসুমি পোশাক বিক্রেতাদের দখলে। এসব দোকানে ঈদের জন্য ওঠা সব ধরনের পোশাকই রয়েছে। মানে যাই হোক, অন্তত নকশায় ও রঙে সেসব পোশাক আকর্ষণীয়ও বেশ। তুলনায় কমদামে কেনা যায় বলে নির্দিষ্ট শ্রেণির ক্রেতার ভিড়ও মন্দ নয়।
রাজধানী মিরপুরে বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অস্থায়ী দোকানগুলোতে কেউ চৌকি পেতে, কেউ কাঠের টেবিল বা ভ্যানের ওপর, কেউ হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে, আবার কেউ চাদর বিছিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সাজিয়ে রেখেছেন। মেয়েদের জন্য সুতি, সিল্ক, জর্জেট, কাতান ও টিস্যু কাপড়ের মধ্যে ওয়ান পিস, টু পিস, লং ফ্রক ও ফতুয়া রয়েছে।
পোষাক বিক্রেতা রাসেল মিয়া সারাবাংলা কে জানান, ‘ওয়ান পিস ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে আছে। কাপড়ের মান ও ডিজাইন অনুযায়ী একেকটা জামার দাম একেক ধরনের। সাধারণত কিশোরী ও তরুণী মেয়েরা এই ধরনের ওয়ান পিস ফতুয়া বা ওয়ান পিস, লংফ্রক কেনে। বেচা বিক্রি ভালো হচ্ছে ঈদ উপলক্ষে।
কাপড়ের সাথে ম্যাচিং করে ব্যাগ কিনেন অনেকেই। তাই সল্প দামে নানা ডিজাইনের ব্যাগও বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এবং ঈদকে সামনে রেখেই ডিজাইনেও আনা হয়েছে নতুনত্ব।
ব্যাগ বিক্রেতা কাউসার আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন ডিজাইনের ব্যাগ এসেছে। অন্যান্য সব দিনের তুলনায় বিক্রি বেশি হচ্ছে, কিন্তু ঈদ হিসেবে বেচাবিক্রি এখনো কম। ‘
জুতা ছাড়া ঈদের সাজ যেনো পরিপূর্ণ হয় না। তাই জামার সাথ্যে ম্যাচিং জুতা খোঁজেন অনেকেই। ফুটপাতে দেখা মিললো, রকমারি জুতোর পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানগুলোও। এর মধ্যে রয়েছে নাগড়া, কেডস, পামসুসহ আরও অনেক ধরণের জুতা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত লোকজনও তাদের দোকানে কেনাকাটার জন্য আসছেন। কম বাজেটের মধ্যে ক্রেতাদের পছন্দ হয় এমন বাহারি নকশা ও রঙের সব পোশাকের সংগ্রহ রয়েছে ফুটপাতের দোকানেও। তাই ক্রেতাদের কোনো না কোনো জিনিস পছন্দ হচ্ছে আর কিনেও নিচ্ছেন।
নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনি চক ও মৌচাক মার্কেটের আশপাশের ফুটপাতের দোকানে ছিল প্রচুর মানুষের ভিড়। আশপাশের জনপ্রিয় বিপণিবিতানগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দামদর আর কেনাকাটা হয়েছে সেখানে।
সামনের ছুটির দিনগুলোতে বেচাবিক্রি আরও বেশি বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।
সারাবাংলা/এফএন/এনজে