৩১ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হচ্ছে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ
২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৫০ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৩
কক্সবাজার: কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পর্যটক ভ্রমণের শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি থেকে নীল জলরাশির এই দ্বীপে ভ্রমণ নিষিদ্ধ। এ দিকে দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা আরও এক মাস এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানালেও এ পর্যন্ত সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হয়নি।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটক যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এ বছর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রাণালয় থেকে পর্যটক সীমিতকরণসহ নানা বিধি-নিষেধ জারি হয়। যেখানে নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবে কিন্ত রাত্রিযাপন করতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত আসে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ২ হাজার পর্যটক যেতে পারবে ও রাত্রিযাপন করতে পারবে আর ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন না এসব বলা হয়।
এ দিকে যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি না পাওয়াতে নভেম্বরেও পর্যটকরা যেতে পারেননি সেন্টমার্টিন। আর গতবছরের ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি হলেও ট্রাভেল পাসের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে যাচ্ছে পর্যটকরা। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতে, আগামী ৩১ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে চলতি পর্যটন মৌসুমে সেন্টমার্টিন যাত্রা। যার কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা।
দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘দু’মাসের আয় দিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীর বাকি ১০ মাস চলা সম্ভব নয়। অতীতে এ রকম কোন সংকট দ্বীপে তৈরি হয়নি। এখন যদি দ্বীপে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে নানামুখী সংকটে পড়বে দ্বীপবাসী। দ্বীপে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষ। তাই মানবিক বিবেচনায় পর্যটকদের জন্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপ উন্মুক্ত করার দাবি জানাই।’
সী ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর জানান, অন্তত ফেব্রুয়ারি মাসটা পর্যটকদের জন্য সেন্টমার্টিন উন্মুক্ত রাখা হোক। এতে দ্বীপের মানুষের ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিটা অনেকাংশে পুষিয়ে নিতে পারবে।
এ দিকে এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়া ভ্রমণ সময় বাড়ানো সম্ভব নয়।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ‘৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেন্টমার্টিনগামী জাহাজগুলো চলাচল করতে পারবে। এরপর আর পর্যটকবাহী জাহাজগুলো চলাচল করতে দেওয়া হবে না। যদি সরকার বর্ধিতকরণের কোন নির্দেশনা প্রদান করে সে ক্ষেত্রে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, দেশের সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার থেকে সমুদ্রপথে ৬ ঘন্টার জাহাজযাত্রা শেষে দ্বীপটিতে পৌঁছান ভ্রমণপিপাসুরা। সাগরের স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর দ্বীপের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ সবাই। ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দ্বীপটিতে বসবাস করে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
সারাবাংলা/এমপি