রাবি ক্যাম্পাসে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য
২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৩০
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে রাজশাহী কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শিমুল শিহাব নামের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা আবার কেউ বলছেন মারধর করে হত্যা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
শিমুল শিহাব রাজশাহী কলেজের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজশাহী নগরের মেহেড়চণ্ডী এলাকার জামাল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করা এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাস্তায় রড বিছানো ছিল। এর মধ্যে দিয়ে বাইক চালাতে গিয়ে ওই ছেলে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যায়। তখন ওই ছেলের সঙ্গে একটি মেয়ে ছিল। তাদের শরীরে তেমন আঘাত লাগেনি। ওই সময় কেউ গায়ে হাত কিংবা মারধর করেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুরর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতরে শিমুল তার মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে বিজ্ঞান ভবনের দিকে বসে আড্ডা দিচ্ছিল। একপর্যায়ে প্রক্টর দফতরের গাড়ি দেখে তারা বাইক নিয়ে পালাতে যান। এ সময় ওই যুবক রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ছাড়া অন্য কোনো ঘটনা আছে কিনা তা খোঁজে বের করতে হবে।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান জানান, ক্যাম্পাস থেকে রাত ১১টার দিকে একটি ছেলেকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। প্রথমে সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে লুকাচ্ছিল। পরে জেরার মুখে মারামারি করে মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। শরীরের বাইরের অংশে বড় কোনো ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক সাজিদ হাফিজ বলেন, ‘যখন ওই ছেলেকে নিয়ে আসে তখন তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তবে গায়ে ধূলাবালি লেগে ছিল। ওই সময় রোগীর পালস বা বিপি কোনোটাই ছিল না। পরে তাকে আমরা রামেকে রেফার্ড করে দেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরের মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘নিহতের পরিবার এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারা মৌখিকভাবে দাবি করছে, তাকে মারধর করে মারা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তারা মামলা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। নিহতের মরদেহে কোনো মারধর, ছেড়া-ফাঁটা কিংবা ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি। তাই সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
সারাবাংলা/এইচআই