থাইল্যান্ডে সমলিঙ্গ বিবাহ আইন পাস
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৯ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৭
সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করার মধ্য দিয়ে থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম এবং এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) থেকে দেশটিতে এই আইন কার্যকর হয়েছে। এরই মধ্যে শত শত সমলিঙ্গ দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
ম্যারেজ ইকুয়ালিটি অ্যাক্ট অর্থাৎ বিবাহ সমতা আইন, যা ২০২৪ সালের জুনে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে বিপুল ভোটে পাস হয়েছিল। গত অক্টোবরে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের এই আইনের অনুমোদন দেন।
নতুন এই আইনে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ শব্দগুলোকে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দে পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া সমলিঙ্গ বা সমকামী দম্পতিদের উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ ও চিকিৎসা সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারসহ আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ব্যাংকক প্রাইড এবং ব্যাংকক সিটি কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে থাই রাজধানীতে একটি বিশাল সমলিঙ্গ বিবাহের আয়োজন করেছে। সিয়াম প্যারাগন শপিং মলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১৮০ সমকামী দম্পতি তাদের বিবাহ নিবন্ধন করেছেন। অংশগ্রহণকারীদের একজন, রূপান্তরিত নারী আরিয়া জিন বলেন, ‘এই দিন শুধু আমাদের জন্য নয়, আমাদের সন্তানদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অবশেষে আমাদের পরিবার সম্পূর্ণ হবে।’
থাইল্যান্ড, যা এলজিবিটিকিউ অধিকার ও জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে, এই আইন কার্যকরের মাধ্যমে সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করা এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। এর আগে তাইওয়ান ও নেপাল এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছে।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে এলজিবিটিকিউ গোষ্ঠীগুলো থাইল্যান্ডে বিবাহ সমতা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করে আসছিল। অবশেষে তাদের দীর্ঘ দিনের দাবি বাস্তবায়িত হলো।
আইন কার্যকরের আগে এক উদযাপনমূলক ফটোশুটে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পৈথংতার্ন চিনাওয়াত্র বলেন, ‘পুরুষ, নারী বা নন-বাইনারি যে কেউ তাদের পরিচয় যেভাবে চায় সেভাবে প্রকাশ করার অধিকার থাকা উচিত।’
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডস প্রথমবারের মতো সমলিঙ্গ বিবাহ বৈধ করে, যার পর থেকে বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশ এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেছে।
সারাবাংলা/এনজে