ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ, বিচার চলবে
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৬ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:০১
বুধবার (২২ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের পক্ষ থেকে আবেদনটি করা হয়।
গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার ও ট্র্যাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে জারি করা অধ্যাদেশ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমরা বলেছি, এটা করলে সাংবিধানিক আদালত তথা হাইকোর্টে করতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তথা এই ফৌজদারি কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া তারা বর্তমান সরকারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন সেক্ষেত্রেও আমরা বলেছি এটি এখানে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে থাকবে, তার কোনো মৌলিক অধিকার থাকবে না এবং তার বিচারের জন্য করা কোনো আইন যদি সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণও হয় সেটা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।
সাংবিধানিকভাবে এক্ষেত্রে সুরক্ষা দেওয়া আছে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে গুমের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে, যেটি তারা চ্যালেঞ্জ করেছে।
আমরা দেখিয়েছি যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এটি বিচারের সুযোগ আছে, সেটি আগে বা পরে যখনই হোক না কেন। সর্বোপরি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে আসামির খালাস চেয়ে তারা আবেদন করেছিলেন। আমরা সে আবেদন সরাসরি খারিজের পাশাপাশি এ ধরনের আবেদন করায় তাদের (কস্ট) জরিমানা করার আবেদন জানাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয় পক্ষকে শুনে বুধবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ /আরএস