আগামী বাজেটে করের বিষয়গুলো ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৯ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৪
ঢাকা: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আগামী বাজেটে মূল করের বিষয়গুলো ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে। আর কী প্রেক্ষিতে ভ্যাট সমন্বয় করা হয়েছে- সেটা আর কিছুদিন পর জানা যাবে। আগামী বাজেটে মেইন ট্যাক্সের বিষয় যেগুলো থাকবে, সেখানে আরও ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওএমএস এর বিষয়টা আমরা খুব ইমারজেন্সি বেসিসে করেছিলাম। ওটার জন্য স্পেশাল টাকাও দেওয়া হয়েছে। ওটা সাকসেসফুলি ইমপ্লিমেন্ট করা গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৮ লাখের বেশি লোক সেটার কভারেজ পেয়েছে। আপাতত ডিসেম্বরে এটা আমরা স্থগিত করলাম। কারণ বর্তমানে বাজার মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আর ভবিষ্যতে যদি আবার ইমারজেন্সি হয়, তখন দেখা যাবে।
মানুষ এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস-এর বিকল্প কোনো পরিকল্পনা আছে কি- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত এটা নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখি। যদি অব্যাহতভাবে চলে, তখন হয়তো অল্টারনেটিভ আমরা আবার শুরু করতে পারি।
প্রসঙ্গক্রমে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এখনো সাপ্লাই চেন ব্রোকারের হাতে। চাল মোকামে থাকে, মোকাম থেকে আনে না। ওগুলো তো ঠিক সাপ্লাইয়ের স্বল্পতা না। এটা সাপ্লাই চেন যারা মেনুপুলেট করছে খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা, সেটা একটা ইস্যু। চালের দাম তো কিছুদিন আগে কিছুটা কমেছে। অন্যগুলো মোটামুটি সহনীয় আছে।
কোন ইস্যুতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওটা দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এগুলোতে এত ভর্তুকি দেওয়া হয়, ভালো লোকও লাইনে দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য গত ১৫ অক্টোবর কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেক্রয় বিশেষ ওএমএস চালু করেছিল সরকার। ৮ লাখের বেশি মানুষ এই কার্যক্রমের সরাসরি সুবিধাভোগী ছিলেন। বিশেষ ওএমএসের কৃষি পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল- ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ, এক পিস লাউ ৫০ টাকা।
ক্রয় কমিটির বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সারের মজুদ যদি সরকারের না থাকে, তখন ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সার কেনার বিষয়ে আমরা আজকে অনুমোদন দিয়েছি। আর পল্লী বিদ্যুতের কিছু বিষয় ছিল, আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস