প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক পরিস্থিতি নিরীক্ষার উদ্যোগ
২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২২ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক পরিস্থিতির স্বচ্ছতা আনতে নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর জিইসিতে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুনর্গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে এখানে একটি বিশাল লেনদেন আছে। এটা স্বচ্ছতা আনার জন্য একটি সিএ ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কত টাকা এখানে ডিপোজিট আছে, কোন সেক্টরে কত টাকা খরচ ও বর্তমানে ফিন্যান্সিয়াল অবস্থা কি এসব জানার জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধাক্ষ্য না আসা পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে আগেই দায়িত্ব দিয়েছিলাম। আজ সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কারা কারা থাকবে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে যেটা পাঠিয়েছে সেখানে ৯ জন আছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন আমরা আছি। আজ সভায় আমরা ট্রাস্টিবোর্ডের তিনজন ছিলাম। দুজন অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন। চারজনের মধ্যে সাবেক মেয়র-যেটা আসলে সম্ভব না। উনি তো মামলা তে আছেন। আর দুজন প্যানেল মেয়র। এরা তো নেই। এদের প্যানেল মেয়র পদই বাতিল হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাব। কীভাবে এখানে নতুন কাউকে যুক্ত করা যায়। আর উপাচার্য নিয়োগ হয়ে গেলেই তিনি এ কমিটির সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।’
এ সময় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রু মারমা, বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব আশরাফুল আমিন ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইফতেখার মনির উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) চসিক মেয়রকে চেয়ারম্যান করে ৯ সদস্যের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেঙে দেওয়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ছিলেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সদস্যরা ছিলেন মহিবুল হাসান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা। ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর পরিবারের কাছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মহিবুল হাসান চৌধুরী।
গত ৬ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ড. অনুপম সেন। পদত্যাগ করেছিলেন সহ–উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষও। এখনো নতুন করে এসব পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
সারাবাংলা/আইসি/এইচআই