অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না: সাইফুল হক
১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫ | আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৯
ঢাকা: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল হক বলেছেন, রাষ্ট্র ও সমাজে বৈষম্য বিলোপে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো মনোযোগ দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক সংস্কারে সরকারের যত আগ্রহ, সমাজের সীমাহীন বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের তেমন আগ্রহ নেই। অথচ অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, যে আমলাদের সাথে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের কোন সম্পর্ক ছিল না, তাদের পরামর্শে সরকারকে ভুল করলে চলবে না। আমলাতান্ত্রিকভাবে নেয়া পণ্যের উপর ভ্যাট ও কর আরোপের সিদ্ধান্ত বাজারের আগুনে পুড়তে থাকা মানুষের উপর বিপদ চাপিয়ে দেয়ার সামিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন এই পদক্ষেপ কষ্টে থাকা মানুষের দূর্ভোগ আরও চরমে নিয়ে যাবে। এসব পদক্ষেপ একদিকে গরীব ও স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা আরও ঝুঁকিতে ফেলে দেবে, আর অন্যদিকে শিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি পেলে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে, বিনিয়োগকারীরাও নিরুৎসাহিত হবেন।
আমলাদের প্রভাবে ভ্যাট ও কর বাড়ানোর গণবিরোধী পদক্ষেপ থেকে অবিলম্বে সরে আসা এবং আমলাদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, বাজার পরিস্থিতি এখনও অনেকটা বেসামাল। সরকার কোনভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সাড়ে পাঁচমাস পর বাজার নিয়ন্ত্রণে জনগণ সরকারের আর কোন অজুহাত শুনতে চায় না। মানুষকে স্বস্তি আর নিরাপত্তা দিতে না পারলে ভালো রাজনৈতিক সংস্কারও মানুষ গ্রহণ করবে না- বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আদিবাসী ছাত্র জনতার উপর সন্ত্রাসী ও পুলিশী হামলার নিন্দা জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, এই হামলাকারীরা গণঅভ্যুত্থান ও দেশবিরোধী শক্তি। এদের অপতৎপরতা হিংসা ও বিভাজনের রাজনীতিকে আরও উসকিয়ে দেবে। অনতিবিলম্বে এ হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
দলের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, সাইফুল ইসলাম, মীর রেজাউল আলম, ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য জামাল সিকদার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে তোপখানা রোড ও বিজয়নগর হয়ে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/আরএস