ইসরায়েলে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের পথে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৭ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩১
ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে বন্দিমুক্তি চুক্তি অনুমোদনের জন্য বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
যদিও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) চুক্তি ঘোষণার পর অন্তত ৮৬ জন নিহত হয়েছে।
মন্ত্রিসভার মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে বৃহস্পতিবারের (১৬ জানুয়ারি) নির্ধারিত বৈঠক বিলম্বিত হয়। তবে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, চুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে রয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আলোচনাকারী দল জানিয়েছে বন্দিমুক্তি চুক্তি নিয়ে সমঝোতা হয়েছে।’ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সিকিউরিটি ক্যাবিনেট এবং পরে পুরো মন্ত্রিসভার বৈঠকে চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হবে।
তবে, মন্ত্রিসভার বৈঠক শুক্রবার না শনিবার হবে এবং যুদ্ধবিরতি রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরো পড়ুন- ইসরায়েলে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন স্থগিত
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতে চুক্তি কার্যকর হওয়ার পথে রয়েছে এবং এই সপ্তাহান্তে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে।
হামাসের হাতে বন্দি ৯৮ জনের পরিবার নেতানিয়াহুকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আলোচনায় হামাসের মুক্তির জন্য নির্ধারিত বন্দিদের পরিচয় নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি পাবে। হামাসের হাতে বন্দি নারী, শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েল মুক্তি দেবে।
যুদ্ধবিরতি সফল হলে ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাত, যার ফলে ৪৬ হাজারেও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ২৩ লাখ মানুষের বেশিরভাগই গৃহহীন হয়েছে, তার সমাপ্তি ঘটবে।
সারাবাংলা/এনজে