সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে পুনরায় নির্বাচন
১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১০ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:২৫
ঢাকা: না ভোটের বিধান রাখার প্রস্তাবের পাশাপাশি কোনো আসনে ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনরায় নির্বাচনের কথা বলেছে সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন বন্ধের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। বুধবার ( ১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার হাতে সংস্কার প্রস্তাবগুলো তুলে দেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।
সেইসঙ্গে নির্বাচনি অনিয়মের জন্য অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীসহ নির্বাচন কমিশনকেও শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা। গুরুতর মানবাধিকার এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদের সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা, একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থীর হওয়ার বিধান বাতিল করা, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা।
সংসদকে কার্যকর করতে সংসদ সদস্যদের পওয়া সুযোগ-সুবিধায় পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছে কমিশন। এতে আছে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি, আবাসিক প্লট, সব ধরনের প্রটোকল ও ভাতা পর্যালোচনা ও সংশোধন করা, একটি ‘সংসদ সদস্য আচরণ আইন’ প্রণয়নের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের বাৎসরিকভাবে সম্পদের হিসাব প্রদান এবং স্বার্থের দ্বন্দ্বের বিষয়সমূহ ঘোষণা করা, সংসদ সদস্যদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টার পদ থেকে অপসারণ করা ও সংসদ সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রটোকলের অবসান করা। এছাড়া সংস্কার কমিশন অনলাইনে ভোটব্যবস্থা চালুরও প্রস্তাব করেছে।
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম