শিল্পে সক্ষমতা বাড়াতে কোরিয়ার প্রযুক্তি সহায়তার আহ্বান ডিসিসিআইর
১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৪ | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৭
ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সে সময় ডিসিসিআই সভাপতি শিল্পে সক্ষমতা বাড়াতে কোরিয়ার প্রযুক্তি সহযোগিতার আহ্বান করেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তাদের মধ্যে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯০২ দশমিক ৯০ মিলিয়ন ও ৪৯১ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান তৃতীয়। ইতোমধ্যে দেশটি বাংলাদেশে ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, এপিআই, অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, সেমিকন্ডাক্টর, তথ্য-প্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে আরও বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
বাংলাদেশ হতে আরও বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষিত তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা সম্প্রতি সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ডিজাইন তৈরিতে বেশ ভাল করছে। এ খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ভিসা দেওয়া ও নবায়ন প্রক্রিয়া সহজীকরণ, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স প্রক্রিয়া দ্রুতকরণ, বিডা প্রদত্ত সেবা প্রদান প্রক্রিয়া বেগবান করা, করপোরেট কর হার সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং লজিস্টিক খরচ হ্রাস করা অতীব জরুরি।’
তিনি বলেন, বিপুল মানবসম্পদ, ভৌগোলিক অবস্থান, বৃহৎ ভোক্তা বাজার প্রভৃতির ফলে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এ ছাড়াও ইলেকট্রনিক্স পণ্য, মোবাইল, অটোমোবাইল, তথ্য-প্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশের কারিগরী শিক্ষা কেন্দ্রসমূহের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়ার মাধ্যমে কোরিয়া সহযোগিতা দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে শিল্পখাতের সক্ষমতা বাড়ানো ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য অধিক হারে জোরারোপ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে দু‘দেশের যৌথ বিনিয়োগ স্থানীয় উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বাংলাদেশে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান। ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এইচআই
ডিসিসিআই ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দক্ষিণ কোরিয়া পার্ক ইয়ং সিক